চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল এক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার খড়্গপুরের কৌশল্যার ঘটনা।
মাস ছ’য়েক আগে এই নার্সিংহোমেই ভর্তি হয়েছিলেন শালবনির কাশীজোড়া অঞ্চলের ভুরসা গ্রামের যুবক সরোজ ঘোষ। কিডনিতে পাথর মেলায় তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। তারপর সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে যান সরোজ। তবে রোগীর পরিজনেদের অভিযোগ, তারপরেও সরোজের শরীরে নানা সমস্যা ছিল। বুধবার ফের পেটে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় ওই নার্সিংহোমের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসা হয় সরোজকে। তিনি দেখে ওই যুবককে নার্সিংহোমে ভর্তি হতে বলেন। তারপর থেকেই সরোজের চিকিৎসায় গাফিলতি চলছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিজনেদের। তাঁদের দাবি, শুধুমাত্র কয়েকটি ইঞ্জেকশন ও স্যালাইন দিয়ে সরোজকে ভর্তি করে রাখা হয়েছে। এমনকী বৃহস্পতিবার নার্সিংহোমে চিকিৎসকের দেখা মেলেনি বলেও অভিযোগ।
সরোজের খুড়তুতো দাদা অমর ঘোষ এ দিন বলেন, “মাস ছ’য়েক আগে অস্ত্রোপচারের জন্য ওই নার্সিংহোমের চিকিৎসক বিবি রাজ ৪২ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আগামী কয়েক বছর কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু বুধবার যন্ত্রণার পরে সরোজের শারীরিক পরীক্ষা করে চিকিৎসক বললেন, কিডনিতে ছোট একটা পাথর রয়ে গিয়েছে। তাই আবার নার্সিংহোমে ভর্তি নিলেও চিকিৎসকের দেখা নেই। আমরা দিশেহারা।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নার্সিংহোমের মালিক তথা চিকিৎসক বিবি রাজ। তাঁর দাবি, “ওই রোগী এখন ভাল আছেন।”