আদালতে ধৃতরা। নিজস্ব চিত্র।
মালিককে খুন করে সোনার গয়না লুঠের ঘটনায় অভিযুক্তের বাবা-মা সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে লুঠ হওয়া সোনার গয়নাও। সোমবার ধৃতদের ঘাটাল আদালতে তোলা হয়। পরে তদন্তের স্বার্থে ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃতদের নিয়ে যাওয়া হয় রাজস্থানে। সিআইডির ডিএসপি পদমযার্দার অফিসার পিনাকীরঞ্জন দাস বলেন, “মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। তবে লুঠ হওয়া সোনার গয়না-সহ অভিযুক্তের বাবা-মা সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”
চলতি মাসের ১৩ তারিকে রাজস্থানের চমু শহরে নিজের দোকানে খুন হন মুলচাঁদ সোনি(৬০)। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন কোলাঘাট থানার কিসমত খয়রা গ্রামের যুবক শম্ভুনাথ শাসমল। ওই যুবককে ধরতে কোলাঘাটে এসে চিরুনি তল্লাশি চালায় রাজস্থান পুলিশ। অবশেষে সিআইডির সাহায্য নিয়ে রবিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থেকে অভিযুক্তের বাবা-মা সহ পাঁচ আত্মীয়কে গ্রেফতার করে রাজস্থান পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকেই উদ্ধার হয় লুঠ হওয়া সোনার গয়নাও।
পুলিশ ও সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর ধরে কোলাঘাটের কিসমত খয়রা গ্রামের যুবক শম্ভুনাথ শাসমল রাজস্থানের চমু শহরের স্বর্ণশিল্পী মূলচাঁদ সোনির দোকানে কাজ করতেন। মুলচাঁদবাবুর চমু শহরে সোনার গয়নার দোকান রয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে শম্ভুনাথ, মালিককে খুন করে দোকান থেকে প্রায় চার কিলোগ্রাম সোনার গহনা লুঠ করে ফেরার হয়ে যায়। ঘটনার পর মৃতের ভাই চমু থানায় শম্ভুনাথ শাসমলের নামে খুন এবং ডাকাতির অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার তদন্তে নেমে রাজস্থান পুলিশ অভিযুক্তর নাগাল পায়নি। তারপর সিআইডির সাহায্য নিয়ে রবিবার যৌথ ভাবে অভিযান শুরু হয়। সূত্রের খবর, প্রথমে সিআইডি ও রাজস্থান পুলিশের ওই দলটি অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু শম্ভুনাথের বাড়িতে কাউকে না পেয়ে তারা শম্ভুনাথের দিদির বাড়ি দাসপুরের জোতঘনশ্যাম গ্রামে অভিযান চালায়। সঙ্গে নেয় দাসপুর থানার পুলিশকেও। জোতঘনশ্যাম গ্রাম থেকেই অভিযুক্তের বাবা কালিপদ শাসমল, মা পূর্ণিমা শাসমল এবং জামাইবাবু বিশ্বজিৎ মাঝিকে পাকড়াও করে। পরে দাসপুর থানারই দুধকোমরা গ্রামে অভিযুক্তের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের মোবাইল ও তার আত্মীয়ের মোবাইলের কল রেকর্ড-সহ তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। ধৃতদের জেরা করে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।