বছর গড়িয়েছে, টাকা গুনেও মেলেনি বিদ্যুৎ সংযোগ

ধান্যশোলের ওই বাসিন্দার কথায়, ‘‘কেন এখনও বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পেলাম না বুঝতে পারছি না। দিন কয়েক আগে একবার ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করেছি। ভাবছি এ বার দিদিকে ই- মেল করব।’’ তাঁর কথায়, ‘‘স্থানীয় কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে অনেকবার গিয়েছি। বাধ্য হয়ে মেদিনীপুরে এসে বিদ্যুৎ দফতরের ডিভিশনাল অফিসে নালিশ জানিয়েছি।’’ 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শালবনি শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৯ ০০:৩৩
Share:

ফাইল চিত্র।

এ যেন ‘আঠারো মাসে বছর’ প্রবাদের নজির!

Advertisement

বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন গত বছর অগস্টে। নির্ধারিত টাকাও জমা দিয়েছিলেন। বছর ঘুরেছে। তবে এখনও বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ মেলেনি। সব দেখে মেদিনীপুরে এসে জেলার বিদ্যুৎ দফতরে নালিশ ঠুকেছেন জীবনকৃষ্ণ মাহাতো নামে একজন। জীবনকৃষ্ণের বাড়ি শালবনির ভাদুতলার ধান্যশোলে। ধান্যশোলের ওই বাসিন্দার কথায়, ‘‘কেন এখনও বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পেলাম না বুঝতে পারছি না। দিন কয়েক আগে একবার ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করেছি। ভাবছি এ বার দিদিকে ই- মেল করব।’’ তাঁর কথায়, ‘‘স্থানীয় কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে অনেকবার গিয়েছি। বাধ্য হয়ে মেদিনীপুরে এসে বিদ্যুৎ দফতরের ডিভিশনাল অফিসে নালিশ জানিয়েছি।’’

কেন বছর ঘুরলেও বিদ্যুৎ সংযোগ মিলছে না? পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি বলেন, ‘‘বিষয়টি জানি না। এখুনি খোঁজ নিচ্ছি। যে পদক্ষেপ করার করছি।’’ তাঁর আশ্বাস, ‘‘সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ওই আবেদনকারী শীঘ্রই বিদ্যুৎ সংযোগ পাবেন।’’ ধান্যশোলে নতুন বাড়ি করেছেন জীবনকৃষ্ণ। তিনি জানাচ্ছেন, সেই বাড়িতেই বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে চেয়েছেন তিনি। বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য গত বছর ২৫ অগস্ট নির্ধারিত টাকাও জমা দিয়েছেন জীবনকৃষ্ণ। তাঁর কথায়, ‘‘দেড় হাজার ওয়াটের জন্য আবেদন করি। সব কাগজপত্র দেখে আমাকে ৩,৫৭৮ টাকা জমা দিতে বলা হয়েছিল। গত বছর ২৫ অগস্ট আমি ওই টাকা জমাও দিয়েছি।’’

Advertisement

দেখতে দেখতে বছর ঘুরেছে। তবে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি ধান্যশোলের ওই বাসিন্দা। ধান্যশোলের নিকটবর্তী কাস্টমার কেয়ার সেন্টার রয়েছে মেদিনীপুর সদর ব্লকের বাড়ুয়ায়। জীবনকৃষ্ণের দাবি, বাড়ুয়ার ওই কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে তিনি অনেকবার গিয়েছেন। বেশিরভাগ সময়েই বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তাঁকে ঘোরানো হয়েছে। কখনও বলা হয়েছে, ঠিকাদারদের একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না। এ বার দেওয়া হবে। কখনও বলা হয়েছে, দফতরের ডিভিশনে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে। সমস্যা মিটে গেলেই সংযোগ দেওয়া হবে। ধান্যশোলের ওই বাসিন্দার কথায়, ‘‘অনেক সময়ে শুধুই আশ্বস্ত করা হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘মাঝে একবার খুঁটি পড়েছিল। পরে সেই খুঁটি সরিয়ে নেওয়া হয়। কেন সরানো হয় তাও জানি না।’’ সরকারি কাজে দেরি নিয়ে মাঝেমধ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি।

এ ক্ষেত্রে তো আবেদনের বছর পার হয়ে গিয়েছে! তাও এখনও বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ মেলেনি। কেন তাঁর বাড়িতে সংযোগ দেওয়া যায়নি, বিদ্যুৎ দফতরের তরফে তাও নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি জীবনকৃষ্ণকে। জেলার বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরির আশ্বাস, ‘‘বিষয়টি দেখছি। কোনও গড়িমসি বরদাস্ত করা হবে না। এ ক্ষেত্রে কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন