জখম: হাসপাতালে সন্ধ্যা কোটাল। নিজস্ব চিত্র
গৃহকর্ত্রীর মাথায় কাটারির কোপ মেরে ডাকাতির ঘটনা ঘটল এগরায়। শনিবার মাঝরাতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আকলাবাদের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা শহরে। গুরুতর জখম সন্ধ্যা কোটাল নামে ওই মহিলা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ, তাঁর বাড়ি থেকে খোয়া গিয়েছে তিন-চার ভরি সোনার গয়না, নগদ দশ হাজার এবং বেশ কিছু কাঁসা-পিতলের বাসন। রবিবার সকাল থেকেই দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। এগরার এসডিপিও সব্যসাচী সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। ডাকাতদের ধরতে খোঁজ চলছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত প্রায় দেড়টা-দু’টো নাগাদ আকলাবাদের ওই বাড়িতে ঢোকে চার-পাঁচজনের দুষ্কৃতীদলটি। সন্ধ্যাদেবীর ছেলে শোভন কোটালের কথা অনুযায়ী, তাঁদের বাড়ির পিছন দিকে রান্নাঘরের টিনের দরজার শিকল খুলে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। তাদের পায়ের শব্দে শোয়ার ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন সন্ধ্যাদেবী। বাড়ির মধ্যে অচেনা লোক দেখেই চিৎকার জুড়ে দেন তিনি। তখনই এক দুষ্কৃতী তাঁর মাথায় কাটারির কোপ বসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সন্ধ্যাদেবীর ডান চোখের তলায় গভীর আঘাত রয়েছে।
শোভন বলেন, ‘‘নোড়া দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ঢোকে ডাকাতেরা। আমার শোওয়ার ঘরে ঢুকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে তারা। তারপর দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে লুঠপাট চালায়।’’ শোভনের স্ত্রী ঝিলিকের কানের দুল, গলার হার, হাতের আংটি খুলে নেয় দুষ্কৃতীরা। স্টিলের আলমারি ভেঙে লুঠ করে আরও কিছু গয়না, নগদ টাকা ও বাসনপত্র।
পরে প্রতিবেশীরা গিয়ে উদ্ধার করেন সন্ধ্যাদেবী ও শোভনকে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর শোভনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, চার-পাঁচ জন দুষ্কৃতী ঘরে ঢুকলেও বাইরে নজর রাখছিল আরও কেউ। কারণ ঘটনার সময় বাইরে থেকে কারও গলার আওয়াজ পেয়েছিলেন শোভন। আগে থেকে খবর নিয়েই লুঠপাট চালানো হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।