আপাতত ঝগড়াঝাটি বাদ, বোর্ড গড়ে মিষ্টিমুখ

কোন গোষ্ঠীর হাতে থাকবে ক্ষমতা, তা নিয়ে রাগ, মন কষাকষি। আপাতত সব বিরোধের ইতি। মঙ্গলবার উৎসবের মেজাজেই বোর্ড গঠন হল দাসপুর-২ব্লকের সদর শহর সোনাখালিতে। ফাটল বাজি। বাজল বাদ্যি। শেষে ছিল মিষ্টিও।  

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:১০
Share:

কোন গোষ্ঠীর হাতে থাকবে ক্ষমতা, তা নিয়ে রাগ, মন কষাকষি। আপাতত সব বিরোধের ইতি। মঙ্গলবার উৎসবের মেজাজেই বোর্ড গঠন হল দাসপুর-২ব্লকের সদর শহর সোনাখালিতে। ফাটল বাজি। বাজল বাদ্যি। শেষে ছিল মিষ্টিও।

Advertisement

অথচ দিন কয়েক আগেও পরিস্থিতিটা এমন ছিল না। দাসপুর ১ এবং দাসপুর ২ ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন শেষ হয়েছে। প্রধান পদ নিয়ে শাসক দলের দু’পক্ষের কাজিয়া সামনে এসেছিল।এমনকী, দাসপুর-২ব্লকের খেপুত পঞ্চায়েতে প্রধান পদ নিয়ে ভোটাভুটিও হয়েছিল। সেখানে এক পক্ষ সিপিএমের সমর্থন নিয়ে প্রধান পদটি ছিনিয়ে নেয়। এ নিয়ে দাসপুর-২ এ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আশিস হুতাইত এবং প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা বিদায়ী খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তপন দত্তের লড়াই সামনে আসে। তৃণমূলের এক গোষ্ঠী তপন বাবুর কুশপুতুল দাহ করে মিছিল করে এলাকায়। সভাপতির পদ নিয়েও কিছুটা বিরোধ বেধেছিল।

তবে এ দিন সকাল দশটার পর এক এক করে এসে হাজির হন দাসপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন ও নব নিবার্চিত সদস্যেরা। পুরনো সদস্যরা নতুনদের ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন। নতুনরাও পুরানোদের পুষ্পস্তবক দিয়ে বিদায় জানান। সবশেষে মিষ্টিমুখও করানো হয়। প্রাক্তন সভাপতি অরুণ মুখোপাধ্যায় নতুন সভাপতি প্রতিমা দোলইয়ের হাত ধরে সভাপতির আসনে বসিয়ে দেন। দলেরই দুই গোষ্ঠীর নেতা আশিস হুতাইত এবং তপন দত্ত দু’জনই হাত মেলান। হেসে গল্পও করেন খানিকক্ষণ। আশিস বাবু এবার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দায়িত্বও পেলেন। প্রাক্তন সভাপতি অরুণবাবু বললেন, “আমরা সবাই তো একই দলের। গন্ডগোল ঠিক নয়। তাই তো এত আয়োজন।” তপনবাবুর কথায়, “বরাবরই ব্যতিক্রমী সোনাখালি। পঞ্চায়েত সমিতি বোর্ড গঠনেও তার প্রমাণ রেখেছে।” আর দলের ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আশিসবাবুর কথায়, “এবার শুধুই উন্নয়ন। আর নিজেদের মধ্যে কোনও বিরোধ নয়।” এদিন নিবির্ঘ্নেই দাসপুর-১পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন সম্পন্ন হয়।

Advertisement

ডেবরায় পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ঘিরেও তৃণমূলের মধ্যেই সভাপতির পদপ্রার্থী নিয়ে ভোটাভুটির আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে ভোটাভুটি এড়াতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সভাপতি পদপ্রার্থী হিসাবে উঠে এসেছিল মৌসুমী মুড়া ও রঞ্জন সিংহের নাম। বিরোধ না মেটায় রাজ্য নেতৃত্বের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। শেষমেশ রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে মৌসুমীকে সভাপতি ও রঞ্জনকে সহ-সভাপতি করা হয় এ দিন। খড়্গপুর-১ ব্লকে বিজেপি প্রার্থী দেওয়ায় ভোটাভুটি হলেও শেষ হাসি হেসেছে তৃণমূল। খড়্গপুর-২, দাঁতন-১ ব্লকে নিবিঘ্নেই বোর্ড দখল করেছে শাসক দল।

গড়বেতা ২ অর্থাৎ গোয়ালতোড় পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রত্যাশা মতোই বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। সভাপতি হলেন মঞ্জু দুলে, সহ সভাপতি হলেন স্মৃতিরেখা কিস্কু। মঞ্জু গতবারেও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন। অশান্তি এড়াতে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন