ছবি- শাটার স্টক।
জেলায় গত এক বছরে এটিএম সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছে অন্তত ১০০টি। কিন্তু সেগুলির হাতেগোনা কয়েকটিরই সমাধান হয়েছে। অন্তত তেমনই জানা গিয়েছে জেলা পুলিশ সূত্রে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা কমানো যায়, সে জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। ব্যাঙ্কে গ্রাহকদের শোনানোর জন্য একটি সচেতনতামূলক ‘অডিয়ো বার্তা’ তৈরি করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।
চলতি মাসেই মহিষাদলের এটিএমে টাকা তুলতে গিয়ে প্রতারিত হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষক। মে মাসে ব্যাঙ্কের কর্মী পরিচয় দিয়ে ফোন এসেছিল হলদিয়া বন্দরের কাছে শ্রমিকের কাছে। এটিএমের পিন জেনে তাঁকে প্রতারিত করেছিল দুষ্কৃতীরা। প্রতারণায় কয়েক লক্ষ টাকা খুইয়েছিলেন কাঁথি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এক অধ্যাপকও।
প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা এই ধরনের ঘটনা একেবারে বন্ধ করতে পুলিশ ‘অডিয়ো বার্তা’টি ব্যাঙ্কে পাঠিয়েছে। তাতে কীভাবে ব্যাঙ্ক বা এটিএমে নগদ লেনদেনে প্রতারণা ঘটতে পারে, তার নমুনা রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীন) ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘নগদ টাকা অধিকাংশ ক্ষেত্রে খরচ করে দেয় অপরাধীরা। তাই টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করা হলেও সাফল্য মেলা কঠিন হয়ে যায়।’’ তাই প্রতারণা থেকে মুক্তি পেতে সচেতনতাই একমাত্র পথ বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মত, ব্যাঙ্ক বা এটিএমে লেনদেন সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। তা কখনই কারও সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া উচিত নয়।
পুলিশের মত সচেতনতা নিয়ে নতুন করে প্রয়াস গড়ে তুলতে চাইছে ব্যাঙ্ক কর্তারাও। এ ব্যাপারে জেলার লিড ব্যাঙ্কিং ম্যানেজার অসীমকুমার পন্ডিত বলেন, ‘‘সমস্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজারদের বলেছি, গ্রাহকদের নিয়মিত সচেতন করে তুলতে। তাছাড়া, গ্রাহকদেরও খেয়াল রাখা উচিত যে, ব্যাঙ্ক থেকে এ ধরনের ভুয়ো ফোন বা এটিএমের পিন নম্বর জানার চেষ্টা কেউ করেন না।’’
শিল্প শহর হলদিয়া, সুতাহাটা ব্লকের চৈতন্যপুর, নন্দীগ্রাম বা জেলার কাঁথি, এগরা, তমলুক-সহ নানা প্রান্তে এটিএমে নিরাপত্তারক্ষী থাকে না বলে অভিযোগ। দাবি, তার জেরে টাকা খুইয়েছেন অনেকে। এই ব্যাপারে গাফিলাতির অভিযোগ উঠেছে ব্যাঙ্ক কর্তাদের দিকে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হলদিয়া) কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ নিয়ে একাধিকবার ব্যাঙ্ক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তারপরও কেন এটিএমগুলিতে ফাঁকা থাকে, তা নিয়ে শীঘ্র উচ্চ পর্যায়ের মিটিং ডাকা হবে।’’