বার্তা: ডেঙ্গি রোধে মশারি নিয়ে ম্যাজিক। খড়্গপুরে। নিজস্ব চিত্র
লিফলেট বিলি হয়েছে, সাঁটানো হয়েছে পোস্টার। নিয়মিত সাফাই অভিযান চলছে বলেও দাবি করছে পুরসভা। তবে খড়্গপুরে ডেঙ্গিতে রাশ টানা যায়নি। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এ বার তাই ম্যাজিকে ভরসা রাখছে স্বাস্থ্য দফতর। সোমবারই খড়্গপুরে চলে এসেছেন জাদুকর বৈদ্যনাথ ঘোষ। আগামী কয়েক দিন তিনি রেলশহরের বিভিন্ন এলাকায় শো করবেন। ম্যাজিকের মাধ্যমে বোঝাবেন, ডেঙ্গির বিপদ ঠিক কোথায়, কেন মশারি টাঙিয়ে ঘুমনো উচিত। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরার কথায়, “ম্যাজিক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। সচেতনতা বৃদ্ধিতেও তার গুরুত্ব যথেষ্ট। এতে মানুষের কাছে সরাসরি বার্তা পৌঁছয়। তাই ম্যাজিক শো করা হচ্ছে।’’
চলতি মরসুমে ডেঙ্গি-হুলে জেরবার খড়্গপুর। আক্রান্ত একশো ছুঁইছুঁই। ইতিমধ্যে খড়্গপুর শহর ও গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গিতে তিনজনের মৃত্যুও হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, আগামী ক’দিন জোব্বা গায়ে ম্যাজিক কাঠি নিয়ে খড়্গপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরবেন জাদুকর। ‘ছোট কামড়, বড় বিপদ’- এর বার্তা দেবেন। বোঝাবেন, মশার কামড় যতই নগণ্য হোক, তাকে অবহেলা করা ঠিক নয়। সেই কামড়েই বড় বিপদ হতে পারে। এও বোঝাবেন, ‘মশাবাহিত রোগ, বাড়ায় দুর্ভোগ’। তাই মশারি টাঙিয়ে ঘুমনো উচিত। খালি কলসি উপুড় করতে দেখা যাবে জাদুকরকে। ম্যাজিকের কৌশলে সেই খালি কলসি থেকে ঝরঝর করে জল বেরোবে। জাদুকর জানাবেন, এ ভাবেই জমা জল নিয়মিত ফেলে দিতে হবে। নিয়মিত নর্দমা পরিস্কার করতে হবে। দিনে রাতে মশারির মধ্যে ঘুমাতে হবে। জ্বর হলে দেরি না- করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। হাত- পা ঢাকা পোশাক পরতে হবে। খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “সচেতনতা বৃদ্ধিতেই ম্যাজিক শোয়ের আয়োজন হচ্ছে। আশা করি ম্যাজিক ও উপদেশ, দুই- ই ভাল লাগবে মানুষের।’’
কী বলছেন জাদুকর নিজে? বৈদ্যনাথবাবুর জবাব, “ম্যাজিকের মাধ্যমে কিছু বার্তা দিই। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সেগুলি খুবই জরুরি।’’