ঘরে তালা, আদালতে এসেও বাড়ল ঝক্কি

ঠিক সময় আদালতে যেতে পারবেন কি না, সন্দেহটা ছিল সকাল থেকেই। শুক্রবারই দেওয়ানি মামলার দিন থাকায় কিছুটা বিড়ম্বনাতেই পডে়ছিলেন রামনগরের সুবোধ প্রধান। হাতে কিছুটা সময় নিয়ে ভোরেই বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। সকাল সাতটার মধ্যেই পৌঁছে গেলেন আদালতে। বাকি সময়টা আদালত চত্বরে গাছতলায় বসেই অপেক্ষা করলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৫৩
Share:

তালাবন্ধ বার অ্যাসোসিয়েশনের অফিস। ছবি: সোহম গুহ।

ঠিক সময় আদালতে যেতে পারবেন কি না, সন্দেহটা ছিল সকাল থেকেই। শুক্রবারই দেওয়ানি মামলার দিন থাকায় কিছুটা বিড়ম্বনাতেই পডে়ছিলেন রামনগরের সুবোধ প্রধান। হাতে কিছুটা সময় নিয়ে ভোরেই বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। সকাল সাতটার মধ্যেই পৌঁছে গেলেন আদালতে। বাকি সময়টা আদালত চত্বরে গাছতলায় বসেই অপেক্ষা করলেন তিনি।

Advertisement

সময় গড়ালেও কারও দেখা মিলল না। আদালতের এক কর্মীর থেকে তিনি জানতে পারলেন, শুক্রবার আদালত খোলা থাকলেও আইনজীবীরা কোনও কাজ করবেন না। কারণ জিজ্ঞাসা করতে ওই কর্মী বলেন, ‘‘ধর্মঘটের দিন মামলার বাদী ও বিবাদীদের দূরদূরান্ত থেকে আসতে অসুবিধা হয়। তাই মক্কেলদের স্বার্থেই যে কোনও ধর্মঘটের দিন আদালতে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দু’টি বার অ্যাসোসিয়েশন।’’

‘মক্কেলদের স্বার্থে আইনজীবীদের এই সিদ্ধান্তটা মক্কেলরাই জানতে পারল না। আগে জানতে পারলে আমাকে এই দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।’ গজরাতে গজরাতে আদালত চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যান সুবোধবাবু। শুধু সুবোধবাবু নন, অনেকেই এ দিন না জেনে সকাল সকাল আদাতে হাজির হন। কোনও কাজ না হওয়ায় তাঁদের ফিরে যেতেও হয়।

Advertisement

কাঁথি মহকুমার অন্যত্র ধর্মঘটের সে ভাবে কোনও প্রভাব পড়েনি। অফিস, স্কুল-কলেজ খোলা ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন