মাতন: ঝড়ের মুখে আড়গোয়ালে তৃণমূলের সভামঞ্চ। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল আক্রমণ করলে রাস্তায় নেমে তাঁর প্রত্যুত্তর দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার রাতুলিয়া বাজারে দলীয় সভায় এসে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘কোচবিহারে তৃণমূল আমাদের দলীয় কর্মীদের উপর আক্রমণ করছে। ওখানে তৃণমূলের সাত বিধায়কের পাঁচ জনই তো এসেছেন ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে। ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মী-সমর্থকরা কিন্তু বিজেপিতে এসেছে।’’ দিলীপবাবুর দাবি, ওখানে তাঁরা ২৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাই উদয়ন গুহের নেতৃত্বে তৃণমূল বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘আমরা আর দাঁড়িয়ে থেকে মার খাব না। রাস্তায় নেমে প্রত্যুত্তর দেব।’’
কলকাতার টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম নুর-উর রহমান বরকতির গাড়ি থেকে লালবাতি খুলে ফেলার ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘সদ্বুদ্ধির উদয় হয়েছে। বোধহয় দিদি বলেছেন।’’ রবিবার সাত পুরসভার ভোটে গোলমালের আশঙ্কা করে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘তৃণমূল বোমাবাজি করে, গুলি চালিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট লুট করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এ বার মানুষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য রাস্তায় নামবে।’’ পাঁশকুড়ার বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল ও সিপিএম থেকে প্রায় ২০০ জন বিজেপিতে যোগ দেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী ও হরিকৃষ্ণ দত্ত।
এ দিন যেখানেই সভা হয়েছে তাড়া করেছে কালবৈশাখী। দিলীপবাবু পৌঁছনোর আগে পাঁশকুড়ার সভা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হয়। পটাশপুরে তৃণমূলের আড়গোয়াল অঞ্চলের সভামঞ্চও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাংসদ শিশির অধিকারী ও মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী পৌঁছনোর আগেই ঘটে বিপত্তি। শেষ পর্যন্ত ওই সভা ভেস্তে যায়। রামনগরেও বিজেপির সভা ছিল। বিকেল থেকেই ওই এলাকাতেও ব্যাপক বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মঞ্চ। রাত ৯টার পর এসে পৌঁছন দিলীপবাবু।