চলছে সংস্কার। নিজস্ব চিত্র
সদ্য শেষ হওয়া রামনবমী নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় কম হয়নি। রামকে নিয়ে একে অন্যকে লাগাতার কটাক্ষ করে চলেছে তৃণমূল এবং বিজেপি। তারই মধ্যে ঘোযণা হয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। সেখানেও রাম নিয়ে লড়াই অব্যাহত দুই দলের।
মহিষাদলের রামবাগ গ্রামে রামজিউ মন্দির সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল পরিচালিত মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি। পঞ্চায়েত ভোটের মধ্যে রামমন্দির সংস্কারে শাসক দলের উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে হিন্দু ভোট যাতে গেরুয়া শিবিরের দিকে ঝুঁকে না পড়ে সে জন্যই শাসকের এমন তৎপরতা।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিষাদল থেকে একটু দূরে রামবাগ গ্রাম। মহিষাদল রাজ পরিবারের সদস্য রানি জানকী দেবী প্রায় আড়াইশো বছর আগে রামজিউ মন্দির গড়ে তুলেছিলেন। মন্দিরের পাশে রয়েছে মসজিদ। বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় ভগ্নদশা মন্দিরের। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মন্দির সংস্কারের। সেইমত মন্দির সারানোর জন্য উদ্যোগী হয় মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি। এলাকার বাসিন্দা ও শিক্ষাবিদ হরিপদ মাইতি বলেন, ‘‘মন্দিরে রাম-সীতা ছাড়াও জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা এবং লক্ষ্মণ, হনুমানেরও পুজো হয়। বহু পুরনো এই মন্দির সংস্কারে প্রশাসনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’’
মন্দির সংস্কারে খুশি এলাকার বাসিন্দা রহিম চাচা, শেখ বাসুর মতো মানুষও। সংস্কারের কাজে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়। মন্দির সংস্কারে তৈরি হয়েছে কমিটি। কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এর জন্য খরচ করা হবে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। কমিটির সম্পাদক তিলক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই মন্দির এলাকার মানুষের কাছে গর্ব।’’
তবে ভোটের মুখে রামের মন্দির সারানো নিয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রসেঞ্জিত সামন্ত বলেন, ‘‘পরিস্থিতির চাপে পড়ে এখন শাসক দল রামমন্দির সংস্কার করছে। আসলে বিজেপির পাশে হিন্দুরা বেশি করে আসায় উদ্বিগ্ন তৃণমূল। তাই রামকে আশ্রয় করেই বাঁচার চেষ্টা করছে ওরা।’’