দুর্ঘটনার পরে বিষ্ণুপুরে। — নিজস্ব চিত্র।
পথ দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। পুলিশের আন্তঃরাজ্য বৈঠকে যোগ দিতে পুরুলিয়া যাওয়ার সময়ে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে উল্টে যায় তাঁর গাড়ি। গুরুতর জখম হন চালক। ভারতীদেবী হাতে চোট পান। গাড়ির কাচ কেটে বের করতে হয় তাঁকে। তিনি জানান, এক মোটরবাইক আরোহীকে বাঁচাতে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারায় তাঁর গাড়িটি।
বিষ্ণুপুরে প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই ভারতীদেবীকে মেদিনীপুরে নিয়ে আসা হয়। তবে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি তাঁকে। মেদিনীপুর পুলিশ লাইনের ‘সেফ হাউস’-এ চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করেন। ভারতীদেবী বলেন, ‘‘মোটামুটি ভাল আছি। তবে হাতে একটু ব্যথা আছে।’’ গাড়ির চালক তথা পুলিশকর্মী সুজিত মজুমদার মাথায় ও হাতে আঘাত পেয়েছেন। খড়্গপুরের বাসিন্দা সুজিতবাবুকে প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল, পরে কলকাতার এসএসকেএমে পাঠানো হয়।
সকাল ১১টা নাগাদ বিষ্ণুপুরের তুরকি সীতারামপুরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাস্থলের কাছে রয়েছে একটি পেট্রোল পাম্প। উল্টো দিক থেকে আসা মোটরবাইকটি হঠাৎই রাস্তা পেরিয়ে পেট্রোল পাম্পে দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখনই ভারতীদেবীর গাড়ির সামনে চলে আসে সেটি। মোটরবাইক আরোহীকে বাঁচাতে সুজিতবাবু ব্রেক কষতেই গাড়িটি উল্টে যায়। ভারতীদেবীর কথায়, “মোটরবাইকটি দ্রুত গতিতে পেট্রোল পাম্পের দিকে ঘুরছিল। আরোহী হয়তো পেট্রোল নিতেন। তাঁকে বাঁচাতে আমার গাড়িটি উল্টে যায়।’’ পরে অবশ্য ওই মোটরবাইক আরোহীকে পাওয়া যায়নি। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা বলেন, ‘‘খবর পেয়েই পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করেছে।’’ বাসিন্দাদের দাবি, ওই এলাকায় আগেও কয়েক বার দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি ট্রাফিক স্ট্যান্ডের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এ দিন মেদিনীপুর পুলিশ লাইনে ভারতীদেবীর সঙ্গে দেখা করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা-সহ পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘দুর্ঘটনার পরপরই যদি উল্টো দিক থেকে গাড়ি আসত তাহলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটত। বরাত জোরে পুলিশ সুপার রক্ষা পেয়েছেন।’’