—ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী যাবেন বীরসিংহ গ্রামে। তার আগেই বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বরদা চৌকানে পৌঁছলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সোমবার সেখানে সুর চড়িয়ে তিনি বললেন, ‘‘এখন থেকে তৈরি হন। ঘাটালের পাঁচটি পুরসভায় তৃণমূল কোনও আসনেই যেন প্রার্থী দিতে না পারে।’’
ঘাটাল, খড়ার, ক্ষীরপাই, রামজীবনপুর এবং চন্দ্রকোনা। আগামী বছরের শুরুতে মেয়াদ শেষ হচ্ছে ঘাটালের ওই পাঁচটি পুরসভার। পুরভোটে সরাসরি টক্কর বার্তা দিয়েছেন দিলীপ। বরদা চৌকানে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে দিলীপ বলেন, “কেউ লাল চোখ দেখালে,আপনারা লাঠি হাতে দাঁড়ান। কেউ হুমকি দিলে পাল্টা হুমকি দিন।” শেষ মুহূর্তে কিছু পরিবর্তন না হলে চলতি মাসের ২৪ তারিখ বিদ্যাসাগরের দুশো তম জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে বীরসিংহে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জায়গায় হাজির হয়ে দিলীপের এই হুঙ্কারকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটে এই বরদা চৌকানে এলাকায় ব্লক অফিসের সামনে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি বিজেপি। ক’দিন আগেই বরদা চৌকানে বিজেপির পতাকা পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তেতে উঠেছিল এলাকা। সোমবার সেখানেই দিলীপের হুঁশিয়ারি, “ক’দিন বাদেই এলাকার পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ স্তরের নেতাদের মেদিনীপুর জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বিধায়কদের আলিপুর এবং মন্ত্রীদের কটকের জেল ঠিক করা রয়েছে।’’
এ দিন ঘাটাল মহকুমায় দিলীপ তিনটি সভা করেন। প্রথম সভাটি হয় নাড়াজোলে। সেখান থেকে ঘাটালের বরদা চৌকান। শেষে রামজীবনপুরে। সেখানে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘রামজীবনপুরে আমরা সংখ্যাঘরিষ্ঠ। তৃণমূল হারার ভয়ে অনাস্থা নিয়ে গড়িমশি করছে। আমরাও ওদের খেলা দেখছি।’’