ফের বিজেপি প্রার্থীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তমলুকের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। রবিবার রাতে নারায়ণ বাজার এলাকায় ভোট প্রচার সেরে রাতে মোটর বাইকে বাড়ি ফেরার সময় বিজেপি প্রার্থী তন্ময় ঘোড়ইকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
তন্ময়বাবুর অভিযোগ তাঁকে আটকে রেখে হুমকি দেওয়া হয়, ছিনতাই করা হয় গলার হার ও নগদ টাকা। ঘটনার জেরে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তির হয়। পরে তমলুক থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
সোমবার সকালে তন্ময়বাবু হেনস্থা ও হুমকি দেওয়ার বিষয়ে তৃণমূলের সাত সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বরং ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘‘বিজেপি-র বহিরাগত কর্মীরা গভীররাতে এলাকায় ঢুকে আমাদের দলের পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ে দিচ্ছিল। আমাদের দলীয় কর্মীরা ওই বহিরাগতদের ঘিরে পুলিশকে খবর দিয়েছিল। ওই ঘটনার পরে আমাদের দলের কর্মীকে মারধরও করেছে বিজেপি।’’
এ দিকে পুলিশ জানিয়েছে , বিজেপি প্রার্থীকে হেনস্থা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। তৃণমূলের তরফেও দলের দুই কর্মীকে মারধরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দু’টি অভিযোগেরই তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি।
জানা গিয়েছে, তমলুক পুরসভার ১৯ নম্বরে ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন পুরপ্রধান পৃথ্বীশ নন্দী। ওই ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন তন্ময় ঘোড়ই। রবিবার রাতে তন্ময়বাবু নিজের নির্বাচনী প্রচার কাজ সেরে রাত ১১ টা নাগাদ দলের এক কর্মীর সঙ্গে মোটর বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ সে সময় নারায়ণপুর বাজারের কাছে হলদিয়া–মেচেদা সড়কের উপরে ১৫-১৬ জন তৃণমূল কর্মী তাঁদের পথ আটকায়। তারপর শুরু হয় ধস্তাধস্তি। বেশ কিছুক্ষণ পর জড়ো হন স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তখনই তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের বচসা বাধে।
তন্ময়বাবুর বলেন, ‘‘রাতে আমাকে আটকে প্রথমে হুমকি দিয়ে জানতে চায় অন্য এলাকার বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও কেন এখানে বিজেপি প্রার্থী হয়েছি। জামা ধরে টানাটানি করে হেনস্থা করে, হুমকি দেয়। আমার গলার হার ও নগদ তিন হাজার টাকা ছিনতাই করে নেয়।’’
বিজেপি-র জেলা সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাসের অভিযোগ, ‘‘এর আগে পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের দলের প্রার্থীকে হেনস্থা করে তাঁর কাকাকে মারধর করেছিল তৃণমূল কর্মীরা। সেই ঘটনার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি। একইভাবে হামলা চালানো হল তন্ময়বাবুর উপর। পুলিশ অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক।’’