প্রতীকী চিত্র।
আগামী বছরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে জনসংযোগে দুর্গাপুজোকেই হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি। দলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা কমিটি সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বৈঠক হয় ডেবরায়। সেখানেই ঠিক হয়েছে, এই সাংগঠনিক জেলার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন দুর্গাপুজোর মণ্ডপ চত্বরে বইয়ের স্টল দেবে বিজেপি। পুজো মণ্ডপে আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে দলের নীতি প্রচারেই এই সিদ্ধান্ত বলে বিজেপি সূত্রে খবর। এ দিন ২১ জনের যে নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়েছে, তাদের এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরে দলের রথযাত্রা কর্মসূচির গতিপথ ঠিক করতে রাজ্য থেকে আসা নির্দেশ কার্যকরের কথাও কমিটিকে বলা হয়েছে।
বৈঠকের পরেই পুজো মণ্ডপে বইয়ের স্টল দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু জেলায় বিজেপি-র যা শক্তি, তাতে প্রতিটি মণ্ডপে বইয়ের স্টল দেওয়া যাবে কি?
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত বর্মন মানছেন, “আমরাও জানি সবকটি পুজো মণ্ডপে হয়তো বইয়ের স্টল দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে অধিক সংখ্যক মণ্ডপে বইয়ের স্টল দেব আমরা। সে ভাবেই প্রস্তুতি শুরু করতে বলা হয়েছে সকলকে।” জানা গিয়েছে, ওই সব স্টলে বেশি সংখ্যায় এনআরসি সংক্রান্ত বই রাখা হবে, থাকবে বিজেপির রীজনৈতিক আদর্শ সংক্রান্ত নানা বইও। বিজেপির জেলা সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “এখন তো লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। দুর্গাপুজোর মণ্ডপে বইয়ের স্টল এর বাইরে নয়। আসলে এনআরসি নিয়ে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা ছড়ানো হচ্ছে। তাই ঠিক করেছি এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকৃত ভাবনা সংক্রান্ত বই স্টলে রাখা হবে।”
আগেই বিজেপি-র ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী হিসাবে অন্তরা ভট্টাচার্যের নাম ঘোষণা করেছিল রাজ্য কমিটি। এ দিন অন্তরার উপস্থিতিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। ২১জনের কমিটি গঠিত হলেও ১৯জনের কর্মকর্তার নাম ঘোষণা হয়েছে। দু’টি পদে একাধিক দাবিদার থাকায় বিপাকে পড়েছেন নেতৃত্ব। অন্তরা বলেন, “২১ জনের কমিটিতে দুটি পদে একাধিক যোগ্য ব্যক্তি থাকায় আমরা সময় নিয়ে ওই দু’জনের নাম ঘোষণা করব।” বৈঠকে ঘোষণা করা হয়, সাংগঠনিক জেলাকে তিনটি অঞ্চলে ভেঙে দায়িত্ব ভাগ করা হবে তিনজন সাধারণ সম্পাদককে। এ ক্ষেত্রে পিংলা, ডেবরা, সবং বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকছেন জয়ন্ত বর্মন। ঘাটাল ও দাসপুর কেন্দ্রের দায়িত্ব পেয়েছেন বিকাশ দে এবং চন্দ্রকোনা ও কেশপুর কেন্দ্রের দায়িত্ব সামলাবেন অজয় প্রধান। এ ছাড়াও জেলার ৮জন সহ-সভাপতি ও ৬ জন সম্পাদকের নাম ঘোষণা হয়েছে। যুব মোর্চায় চঞ্চল চট্টোপাধ্যায়, মহিলা মোর্চায় হাসি হালদার, সংখ্যালঘু মোর্চায় আব্দুল বারিক খান, কিষান মোর্চায় স্বরূপ সামই, ওবিসি মোর্চায় তারাপদ পাইন, এসসি মোর্চায় অনুপ পাত্রকে সভাপতি করা হয়েছে।