Soumendu Adhikari

শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দুকে দ্বিতীয় বার থানায় তলব, সারদার জমি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা

সৌমেন্দুকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২২ ১০:২৭
Share:

আবার কাঁথি থানায় গেলেন সৌমেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।

পুলিশের তলবে দ্বিতীয় বার কাঁথি থানায় গেলেন বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারী। আগে কাঁথি পুরসভার পথবাতি দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এ বার সারদা সংস্থায় জমি দেওয়ার ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ হতে পারে তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর ছেলেকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শুক্রবার টানা ১০ ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। থানা থেকে বেরিয়ে সৌমেন্দু দাবি করেন, তাঁকে স্রেফ বসিয়ে রাখা হয়েছিল। সোমবার সকাল ১০টা ১৩ মিনিট নাগাদ কাঁথি থানায় হাজিরা দিলেন সৌমেন্দু।

Advertisement

যদিও ওই জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর। সৌমেন্দুকে থানায় ডাকা নিয়ে শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিচ্ছু করতে পারবেন না। ওঁকে সুদে-আসলে ফিরিয়ে দেব।’’ পাশাপাশি, শুভেন্দু এ-ও জানান, সৌমেন্দুর পাশে আছে রাজ্য বিজেপি। সৌমেন্দু নিজে অবশ্য এর সঙ্গে রাজনীতিকে মেশাতে নারাজ। তিনি জানান, আইনের মাধ্যমেই জবাব দেবেন।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলে থাকাকালীন প্রায় দশ বছর কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান এবং পরে প্রশাসক ছিলেন সৌমেন্দু। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সৌমেন্দুকে। তিনিও যোগ দেন বিজেপিতে। এর পর পুরসভার কাছে শ্মশানের জমিতে দোকান তৈরি, পুরসভার ত্রিপল চুরি, গ্রিন সিটি (পথবাতি) দুর্নীতি-সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা হয়। তার বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সৌমেন্দু।

Advertisement

গত ১১ অগস্ট কলকাতা হাই কোর্ট তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ দেয়। জানানো হয়, গ্রেফতার করা যাবে না তাঁকে। এর মধ্যেও বেশ কয়েক বার কাঁথি থানায় তলব করা হয় সৌমেন্দুকে। আবার তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ রক্ষাকবচ দেয় তাঁকে। আদালত জানায়, সৌমেন্দুকে গ্রেফতার করা যাবে না। তবে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তে তাঁকে সহযোগিতা করতে হবে। এ বার সারদা সংক্রান্ত একটি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ হতে পারে বলে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন