পুলিশ আটকে দিল বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল   

এ দিন বিকেলে তমলুক থানার সামনেই রাজ ময়দানে জমায়েত হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ বিজেপি’র তমলুক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েকের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। কিন্তু মিছিল কিছুটা এগোতেই থানার সামনে পুলিশ মিছিলটি আটকে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৪০
Share:

থানার সামনে বিক্ষোভ বিজেপির। শনিবার তমলুকে। নিজস্ব চিত্র

উপ নির্বাচনের ফল সামনে আসার পরে তৃণমূলের হাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। এর প্রতিবাদে শনিবার জেলা জুড়ে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তমলুকে সেই মিছিল ঘিরেও হল অশান্তি।

Advertisement

এ দিন বিকেলে তমলুক থানার সামনেই রাজ ময়দানে জমায়েত হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ বিজেপি’র তমলুক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েকের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। কিন্তু মিছিল কিছুটা এগোতেই থানার সামনে পুলিশ মিছিলটি আটকে দেয়। পুলিশের নেতৃত্বে ছিলেন তমলুক থানার ওসি কৃষ্ণেন্দু প্রধান। পুলিশের দাবি, মিছিলের অনুমতি ছিল না বিজেপির কাছে।

মিছিল আটকানোর এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা দেখা যায়। পরে পিছু হঠে বিজেপি। মিছিল বন্ধ করে তারা থানার সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। প্রায় এক ঘণ্টা চলে সেই বিক্ষোভ। জেলা বিজেপি নেতা নবারুণ বলেন, ‘‘তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এ দিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় আমাদের মিছিল কর্মসূচি নেওয়া হয়। তমলুকে মিছিলের জন্য পুলিশের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। মিছিল করতে না দেওয়ায় থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছি আমরা।’’ তবে নন্দকুমারের ব্যবত্তারহাট, মেচেদার রামচন্দ্রপুর, তমলুকের হরিদাসপুর, কাঁকটিয়া বাজারে মিছিল হওয়ার কথা জানিয়েছেন নবারুণ।

Advertisement

মিছিলের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়ে তমলুকের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিকেলে মিছিলের অনুমতির জন্য এ দিন সকালে বিজেপির তরফে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি পুলিশি ব্যবস্থা করা সম্ভব নয় বলেই এ দিন মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।’’

এ দিন পটাশপুর, নন্দীগ্রামেও বিজেপির পথ অবরোধ এবং মিছিল হয়েছে। সকালে দুর্গারোড বাস স্ট্যান্ডে পটাশপুর-বাজকুল রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। অফিস টাইমে অবরোধের ফলে আটকে পড়ে একাধিক হাওড়াগামী বাস। রাস্তার দু’দিকে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় একাধিক ট্রেকার এবং লরি। সকাল ৯টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা চলে অবরোধ। পটাশপুর থানার পুলিশ বিক্ষোভ কারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।

আবার শাসকের শক্ত ‘ঘাঁটি’ নন্দীগ্রামেও এ দিন প্রায় দেড় হাজার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে বিজেপি। নন্দীগ্রাম বাজার থেকে টেঙ্গুয়া পর্যন্ত যায় মিছিলটি। সেটির নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি’র তমলুক সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক প্রলয় পাল।

তমলুক এবং অন্য জায়গায় বিজেপি’র প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘অনুমতি নেওয়ার একটি পদ্ধতি রয়েছে। তমলুকে হয়তো সেই পদ্ধতি মানা হয়নি। তাই অনমুতি মেলেনি। তবে আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, জেলায় আটটি জায়গায় পুলিশ বিজেপিকে মিছিল করার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু ওদের লোক কম থাকায় সব জায়গায় মিছিল হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন