প্রতীকী ছবি।
গোলমালের জেরে কেশিয়াড়ি ব্লকে এ বার পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। সোমবার কেশিয়াড়িতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল বললেন, ‘‘একবছর পরে হলেও আমরাই বোর্ড গঠন করব। আমাদের কাউকে দলে টানতে পারবে না তৃণমূল।’’ এর পাশাপাশি তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের সদস্যদের মধ্যে এখন হাড়কম্প শুরু হয়েছে। ভয়ের মধ্যে আছে। কী করবে বুঝতে পারছে না।’’
উন্নয়নের প্রশ্নেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘এই রাজ্যের সরকার উন্নয়নে জিরো, চুরিতে হিরো।” এ দিন কেশিয়াড়িতে বিজেপির একটি সাংগঠনিক সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন অর্জুনরাম। স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সভাগৃহে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির দু’টি মণ্ডলের নেতৃত্ব ও জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যদেরা। গ্রাম পঞ্চায়েত দখলের পর গ্রামীণ উন্নয়ন কীভাবে হবে তার রূপরেখাও তৈরি করে দিয়েছেন মন্ত্রী। তবে দলের কর্মকর্তারা এলাকার আদিবাসী অনুন্নয়নের কথা জানান। তার পরেই তিনি বলেন, ‘‘অনুন্নয়নের এই সরকারকে তুলে ফেলে দিতে হবে। যে কাজ করবে তাকে আনতে হবে।’’ ফের এক দফায় মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে তাঁর তির্যক মন্তব্য, ‘‘এখানে উন্নয়নের কী কাজ হচ্ছে মানুষরা তা জানেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলব যদি উন্নয়ণের কাজে মন না দেন তবে আগামীবারে জনতা আপনাকে ছুড়ে ফেলে দেবে।” পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের ভাল ফলের পেছনে নেতৃত্ব ও কর্মকর্তাদের প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অর্জুনরাম বলেন, ‘‘ভয় না পেয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে জোর লড়াই করেছেন। এরজন্য ধন্যবাদ।’’
বৈঠক সেরে এ দিন ভসরায় জঙ্গলকন্যা সেতুতে চলে যান কেন্দ্রীয় জলসম্পদ ও নদী বিকাশ প্রতিমন্ত্রী। পরিদর্শন করেন সুবর্ণরেখা নদী। সেখানে এলাকার মানুষের থেকে নদীঘাটের উন্নয়নের নানা প্রস্তাব পান তিনি। পরিদর্শন সেরে হাসিমপুরে দলের এক কর্মীর মাটির বাড়িতে কলাপাতায় ভাত খান।