‘ব্লু হোয়েল’ মিলল ঝাড়গ্রামে

হাত কেটে নীল তিমির ছবি এঁকেছিল বেলিয়াবেড়া থানার পেটবিন্ধি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র তন্ময়। মঙ্গলবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন তন্ময়ের হাতে সেই ছবি দেখতে পায় কয়েক জন সহপাঠী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

‘ব্লু হোয়েল’ গেমের আতঙ্ক এ বার ঝাড়গ্রামেও। তবে সহপাঠীদের তৎপরতায় রক্ষা পেল স্কুল ছাত্র তন্ময় জানা।

Advertisement

হাত কেটে নীল তিমির ছবি এঁকেছিল বেলিয়াবেড়া থানার পেটবিন্ধি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র তন্ময়। মঙ্গলবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন তন্ময়ের হাতে সেই ছবি দেখতে পায় কয়েক জন সহপাঠী। অনুষ্ঠান শেষ হতেই বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানায় তারা। এর পরই তন্ময়কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন শিক্ষকরা। পুলিশকে খবর দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলে পৌঁছে তন্ময়কে টানা জেরা শুরু করেন বেলিয়াবেড়া থানার ওসি অরুণ লোহার। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় তন্ময় জানিয়েছে যে স্রেফ কৌতূহলের বশেই ‘ব্লু হোয়েল’মোবাইল গেমে ক্লিক করেছিল সে। তারই পরিণতি হাতে আলপিন ফুটিয়ে হাতে তিমির ছবি আঁকা। তন্ময়ের মোবাইল ফোনটি পরীক্ষা করছে পুলিশ। কথা বলা হচ্ছে তার অভিভাবকদের সঙ্গেও।

বেলিয়াবেড়ার সোনাকোনিয়া গ্রামের ছেলে তন্ময়ের আচরণ নিয়ে স্কুলে কোনও অভিযোগ নেই। তাই তন্ময় কেন এ কাজ করল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়দেব ভুঁইয়া বলেন, “মঙ্গলবার বিকেলে তন্ময়কে জেরা শুরু করি। সে প্রথমে জানায় যে হাতে ডলফিনের ছবি এঁকেছে। কিন্তু ছবিটা তিমির মতো হওয়ায় আমরা পুলিশে খবর দিই। পুলিশকে আবার তন্ময় জানিয়েছে, কৌতূহলে সে খেলাটি শুরু করে।” স্কুল সূত্রে খবর, মোবাইল ফোনের বিপদ সম্পর্কে অভিভাবকদের সতর্ক করা হয়েছে। স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে এলেই তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। পেটবিন্ধি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কালীপদ সুর বলেন, “মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ঘেঁটেই এমন খেলা শুরু করেছিল তন্ময়। সহপাঠীদের জন্যই বিষয়টি জানাজানি হয়।” আপাতত তন্ময় বাড়িতে রয়েছে বলেই খবর। ঝাড়গ্রাম জেলার এসপি অভিষেক গুপ্ত বলেন, “ওই ছাত্রের কোনও মানসিক বা পরিবারিক সমস্যা নেই। ছেলেটির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কৌতূহলেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে সে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন