কনকদুর্গা মন্দির চত্বরে এ বার বোটিংয়ের ব্যবস্থাও

দু’পাশে প্রাচীন গাছ গাছড়ার জঙ্গল। সেই জঙ্গলের বুক চিরে যাওয়া সরু পরিখার শ্যাওলা জলের গভীরতাও কম নয়। নিঝুম জঙ্গলের নিস্তব্ধতা খানখান করে দেয় অচিন পাখির ডাক আর গাছের ডালে হনুমানদের হুটোপাটির শব্দ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চিল্কিগড় শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৩৪
Share:

চিল্কিগড় কনকদুর্গা মন্দির চত্বরে পর্যটকদের বোটিং। নিজস্ব চিত্র।

দু’পাশে প্রাচীন গাছ গাছড়ার জঙ্গল। সেই জঙ্গলের বুক চিরে যাওয়া সরু পরিখার শ্যাওলা জলের গভীরতাও কম নয়। নিঝুম জঙ্গলের নিস্তব্ধতা খানখান করে দেয় অচিন পাখির ডাক আর গাছের ডালে হনুমানদের হুটোপাটির শব্দ। এ বার চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দির চত্বরের পরিখায় নৌকা বিহার করে নৌসর্গিক পরিবেশ উপভোগের সুযোগ পাচ্ছেন পর্যটকরা।

Advertisement

পর্যটকদের বিনোদনের জন্য সম্প্রতি প্যাডেল বোটে করে জঙ্গলে জলযাত্রার আয়োজন করেছে জামবনি ব্লক প্রশাসন। গত ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এই পরিষেবা। কনদুর্গা মন্দিরকে ঘিরে জঙ্গলের মাঝে রয়েছে অর্ধচন্দ্রাকৃতি পরিখা। প্রাকৃতিক ওই পরিখার নাম বুড়ি ডুলুং। বহু বছর আগে ওই পরিখার জলে বোটিং চালু হয়েছিল। কিন্তু উপযুক্ত দেখভালের অভাবে সেই উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়েছিল। ওই সময় চিল্কিগড়ে তেমন কোনও পরিকাঠামো ছিল না। এখন প্রশাসনিক উদ্যোগে চিল্কিগড়কে ঢেলে সাজা হয়েছে। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা খরচ করে দু’টি প্যাডেল বোট কেনা হয়েছে। একটি বোটে চারজন বসতে পারেন। জনপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা। মন্দির উন্নয়ন কমিটির তত্ত্বাবধানে বোট দু’টিতে পর্যটকদের জলবিহার
করানো হচ্ছে।

এমন অভিজ্ঞতায় রীতিমতো আপ্লুত পর্যটকরা। দক্ষিণ দমদমের নন্দিতা চক্রবর্তী, আসানসোলের সৌমিত্র সরকাররা বোটে জলবিহার করে বেজায় খুশি। তবে তাঁদের বক্তব্য, “আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে বোটে কিন্তু আরোহীদের জন্য লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা নেই।” জামবনির বিডিও মহম্মদ আলিম আনসারি বলেন, “খুব শীঘ্রই লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করা হবে। উপযুক্ত নজরদারির ব্যবস্থা করে পর্যটকদের জলবিহার করানো হচ্ছে।”

Advertisement

বিডিও জানান, কনকদুর্গা মন্দির চত্বরের জঙ্গলটি জীববৈচিত্রে ভরপুর। সেজন্য মন্দির চত্বরে বনভোজন, আগুন জ্বালানো, ধূমপান, মদ্যপান, প্ল্যাস্টিক ও থার্মোকলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পর্যটকদের জন্য আরও একগুচ্ছ প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। যেমন, মন্দির চত্বরের বাইরে একটি রেস্তোঁরা চালু করা হচ্ছে। এখন মন্দির চত্বরের অনেকটা আগে যানবাহন থামিয়ে দেওয়া হয়। তবে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য পার্কিং এলাকা থেকে মন্দির চত্বর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাটারি চালিত যানের বন্দোবস্ত করার চিন্তাভাবনা হচ্ছে বলে জানান বিডিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন