Marriage

পাত্রের একুশ হয়নি, পিছিয়ে গেল বিয়ে

অফিসে আবেদন করেন। ব্লক অফিসের কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্পের দফতরে সেই আবেদনের নথিপত্র যাচাইয়ের সময় দেখা যায় পাত্রের বয়স ২১ হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোয়ালতোড় শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২০ ০০:০১
Share:

প্রতীকী চিত্র

মেয়ে ১৮ পেরিয়েছে। কিন্তু পাত্রের বয়স ২১ হয়নি। রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেতে তাই মেয়ের বিয়ে পিছিয়ে দিলেন বাবা।

Advertisement

ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় অর্থাৎ গড়বেতা ২ ব্লক। স্থানীয় জোগারডাঙা এলাকার কৃষক তপন পাতর তাঁর মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলেন পাশের গ্রামের এক পাত্রের সঙ্গে। সম্বন্ধ করেই মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলেন তিনি। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি মাসের তারিখে ছিল বিয়ের নির্দিষ্ট দিন। তাঁর মেয়ে জগারডাঙার একটি স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য মেয়েকে নিয়ে তপন বুধবার গিয়েছিলেন গোয়ালতোড়ে ব্লক অফিসে। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে মেয়ের বিয়ের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকা পেতে তপন ব্লক

অফিসে আবেদন করেন। ব্লক অফিসের কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্পের দফতরে সেই আবেদনের নথিপত্র যাচাইয়ের সময় দেখা যায় পাত্রের বয়স ২১ হয়নি।

Advertisement

ব্লকের রূপশ্রী প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার সমরনাথ দাস বলেন, ‘‘আবেদনপত্র ও তার সঙ্গে দেওয়া নথিপত্র খতিয়ে দেখা যায়, মেয়ের বয়স ঠিক আছে। কিন্তু পাত্রের বয়স নিয়ে সন্দেহ হয়। হিসেব করে দেখি পাত্রের বয়স ১৯ বছর ১০ মাস হচ্ছে। অথচ রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেতে মেয়ের বয়স যেমন ১৮ হওয়া আবশ্যিক, তেমনই ছেলের বয়সও ২১ হতে হবে।’’ এরপর মেয়ের বাবাকে প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ও কর্মীরা বোঝান রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা নিতে হলে ছেলের বয়সও ২১ হতে হবে না হলে হবে না।

ব্লক অফিসে বসেই তপন ঠিক করেন মেয়ের বিয়ে ওই পাত্রের সঙ্গেই দেবেন, রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধাও নেবেন। তাই বিয়ে পিছিয়েও দিতে রাজি হয়ে যান তিনি। খবর পাঠিয়ে পাত্রকে আনা হয় ব্লক অফিসে। ব্লকের সমাজকল্যাণ আধিকারিক সুব্রত বাজপেয়ী বলেন, ‘‘পাত্র নিজেও বলেন, তাঁর ২১ বছর হলে পছন্দের ওই মেয়েকেই বিয়ে করবেন তিনি। মেয়েরও তাই মত, মেয়ের বাবারও। সেই মতো পাত্র, পাত্রী ও পাত্রীর

বাবা অঙ্গীকারপত্রে সই করে জমাও দেন।’’ তপন মানছেন, ‘‘ছেলের নির্দিষ্ট বয়স হলে তার সঙ্গেই মেয়ের বিয়ে দেব বলে ব্লক অফিসে লিখে দিয়ে এসেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন