Corp Insurance

শস্য বিমার টাকা মেলেনি এখনও, হতাশ কৃষকেরা

বুলবুলের প্রভাবে জেলায় আমন ধান, আনাজ, পান ও ফুল চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২০ ০০:৩৭
Share:

বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্থ চাষ।—ফাইল চিত্র।

নভেম্বরের ৯ ও ১০ তারিখে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। জেলার অধিকাংশ মৌজা ক্ষতিগ্রস্ত বলে ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। কৃষকদের দ্রুত ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দিতে ১৫ নভেম্বর কোলাঘাটে একটি বৈঠক হয়। সেখানে পরিবহণ মন্ত্রী তথা জেলার তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী চাষিদের আমন মরসুমের শস্য বিমার ক্ষতিপূরণের টাকা দ্রুত দেওয়ার দাবি জানান। অন্যান্য ক্ষতিপূরণ ও অনুদান মিললেও আমন মরসুমের শস্য বিমার ক্ষতিপূরণের টাকা এখনও পাননি তাঁরা, এমনই অভিযোগ চাষিদের একাংশের।

Advertisement

বুলবুলের প্রভাবে জেলায় আমন ধান, আনাজ, পান ও ফুল চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়। পরবর্তী চাষের কাজ শুরু করতে কৃষকদের যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য জেলার কৃষকদের আমন ও রবি এই দুই মরসুমের কৃষকবন্ধুর অনুদান এ বার একসঙ্গে দেওয়া হয়। ঘোষিত ক্ষতিগ্রস্ত মৌজাগুলির কৃষকদের অনেকেই ইতিমধ্যে বুলবুলের ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন। কিন্তু আমন মরসুমের শস্য বিমা যোজনার ক্ষতিপূরণের টাকা এখনও পাননি বহু কৃষক। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টাকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি আবেদন পাঠান কৃষক সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক।

সাধারণত শস্যবিমার ক্ষতিপূরণের টাকা মেলে আবেদনের অন্তত এক বছর পর। শস্য তোলার পর ক্রপ কাটিং রিপোর্ট অর্থাৎ কত পরিমাণ শস্য চাষিরা ঘরে তুলতে পারলেন তা দেখে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নিধার্রণ করে বিমা কোম্পানি। কিন্তু যেখানে প্রায় অধিকাংশ মৌজাকেই বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত বলে ঘোষণা করা হল সেখানে এই গড়িমসি কেন? প্রশ্ন তুলেছেন চাষিরা।

Advertisement

চাষিদের একাংশের অভিযোগ, আমনের পর বোরো চাষের বীজতলা তৈরি হয়ে গেল। তবুও এলাকায় দেখা মেলেনি বিমা সংস্থার কোনও আধিকারিকের। তা হলে ক্রপ কাটিং রিপোর্ট সংগ্রহ করবে কে?

জেলা কৃষি দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘এখনও দায়িত্বপ্রাপ্ত বিমা সংস্থা ক্রপ কাটিং রিপোর্টই সংগ্রহ করেনি। এই পরিস্থিতিতে আদৌ কী ভাবে তাড়াতাড়ি শস্যবিমার ক্ষতিপূরণ পাবেন চাষিরা সেই প্রশ্ন উঠেছে।’’ এই বিষয়ে কৃষক সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে জেলায় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সরকারি সাহায্য ও কৃষকবন্ধুর অনুদান পেয়েছেন। কিন্তু শস্যবিমার অনুদান পাননি। যাতে তাঁরা দ্রুত এই ক্ষতিপূরণ পান তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টাকে আবেদন জানিয়েছি।’’

কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘‘বুলবুলের পর কৃষকদের দ্রুত সরকারি সহযোগিতা আমরা পৌঁছে দিয়েছি। শস্য বিমার মাধ্যমে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারেও বিমা সংস্থাকে বলা হয়েছে। এটা সত্যি যে, ওঁরা বিষয়টি নিয়ে এখনও সাড়া দেননি। ফের বিমা সংস্থাকে বলা হবে’’ দায়িত্বপ্রাপ্ত বিমা সংস্থার তরফে সংস্থার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা ইতিমধ্যে ক্রপ কাটিং রিপোর্ট সংগ্রহ করে জমা দিয়েছি। ক্ষতিপূরণ কবে দেওয়া হবে তা রাজ্য স্তরের আধিকারিকরা ঠিক করবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন