Egra Blast Case

খাদিকুল-কাণ্ডে জামিন

বিস্ফোরণের পর থেকেই ভানু পরিবারের অন্য অভিযুক্তরা ওড়িশায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে সিআইডি ওড়িশা থেকে ইন্দ্রজিৎ, পৃথ্বীজিৎ-সহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:০৭
Share:

এগরার বেআইনী বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। —ফাইল চিত্র।

এক ফেরার অভিযুক্তের পরিবার আদালতে তাঁকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গ্রামবাসীদের কাছে সই সংগ্রহ করছেন। সেই বাজি বিস্ফোরণ মামলার আরেক জেলবন্দি অভিযুক্ত তখন পাচ্ছেন জামিন। এগরার খাদিকুল গ্রামের বেআইনি বাজি বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ইন্দ্রজিৎ বাগের জামিনের আবেদন বৃহস্পতিবার মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাই কোর্ট।

Advertisement

গত মে মাসে ওড়িশা সীমানা লাগোয়া খাদিকুল গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানুর বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। গুরুতর জখম হন ভানুও। স্থানীয় সূত্রের খবর, ভানুর ছোট ভাই বিষ্ণুপদ বাগ ছেলে ইন্দ্রজিৎ। আগেই বেআইনি ভাবে বাজি তৈরি করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল বিষ্ণুপদেরও। মে মাসের বিস্ফোরণের পরে ইন্দ্রজিতের সাহায্যেই মোটরবাইকে করে ভানুকে ওড়িশায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় ভানুর ছেলে পৃথ্বীজিৎও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। ভানু পরে কটকের হাসপাতালে মারা যান। ওই বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

বিস্ফোরণের পর থেকেই ভানু পরিবারের অন্য অভিযুক্তরা ওড়িশায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে সিআইডি ওড়িশা থেকে ইন্দ্রজিৎ, পৃথ্বীজিৎ-সহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করে। মামলা চলাকালীন ধৃতেরা কাঁথি সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন। জামিনের আর্জি নিয়ে ইন্দ্রজিতের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। এ দিন হাই কোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। ইন্দ্রজিতের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন যে, পুলিশ ইন্দ্রজিৎ-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে। তাতে খুন-সহ বিভিন্ন ধারা রয়েছে। ইন্দ্রজিৎ ইতিমধ্যে ২০০ দিনের বেশি জেলে রয়েছেন। কিন্তু এই মামলায় খুন-সহ বিভিন্ন ধারা আদৌ প্রযোজ্য হবে কি না, তা এত দিনেও নিম্ন আদালতে স্থির হয়নি। ডিভিশন বেঞ্চও জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে এই যুক্তিগুলি কার্যত মেনে নিয়েছে।

Advertisement

এদিন ইন্দ্রজিতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে তাদের ফোন বন্ধ ছিল। ওই মামলার আরেক ফেরার অভিযুক্ত তথা ভানুর আরেক ভাইকো প্রসেনজিৎ বাগকে নির্দোষ প্রমাণিত করতে গ্রামবাসীরদের কাছে স্বাক্ষর সংগ্রহ করছে তাঁর পরিবার। প্রসেনজিতের স্ত্রী মামণি একটি আবেদনপত্র নিয়ে খাদিকুলের গ্রামের বহু বাসিন্দার বাড়িতে সই সংগ্রহ করতে যাচ্ছেন বলে খবর। তাতে গ্রামবাসীর তরফে তেমন সাড়া মেলেনি বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। ইন্দ্রজিতের জামিন পাওয়ার বিষয়টি এদিন রাত পর্যন্ত গ্রামবাসীদের কাছে অজানা ছিল। শক্তিপদ বাগের স্ত্রী মালতি বাগ বলেন, ‘‘ইন্দ্রজিতের এই ঘটনার সঙ্গে কোনও যোগ ছিল না। তাই হয়তো জামিন পেয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন