গৃহ নির্মাণ নিয়ে সচেতনতা শিবির

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও ‘হাউসিং ফর অল’ প্রকল্পে শহরের বাসিন্দাদের বাড়ি তৈরির জন্য সরকারি ভর্তুকি-সহ ব্যাঙ্ক ঋণের খুঁটিনাটি নিয়ে সচেতনতা শিবির হল তমলুক পুরসভায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:০১
Share:

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও ‘হাউসিং ফর অল’ প্রকল্পে শহরের বাসিন্দাদের বাড়ি তৈরির জন্য সরকারি ভর্তুকি-সহ ব্যাঙ্ক ঋণের খুঁটিনাটি নিয়ে সচেতনতা শিবির হল তমলুক পুরসভায়। শুক্রবার পুরসভার সভাগৃহ মহেন্দ্র স্মৃতি সদনে আয়োজিত শিবিরে উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন, উপ-পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়, মহকুমাশাসক শুভ্রজ্যোতি ঘোষ, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মাধব বিষয়ী প্রমুখ। এ ছাড়াও শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডের দু’টি উপভোক্তা পরিবারের সদস্যরাও শিবিরে উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

তমলুক শহরের নিম্নআয়ের বাসিন্দারা কী ভাবে বাড়ি তৈরি করতে পারবেন বা ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন সে ব্যাপারে সচেতন করতে শিবিরে আলোচনা হয়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে এই প্রকল্পে উপভোক্তার তালিকায় তমলুক শহরের প্রায় ১০০টির বেশি পরিবারের নাম রয়েছে। এই প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

আলোচনাসভায় কয়েকজন প্রশ্ন তোলেন, ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী যাঁরা আয়কর দেন না, তাঁদের ঋণ পেতে সমস্যা হতে পারে। এই প্রকল্পে নিম্নআয়ের যে সমস্ত লোকেদের জন্য বাড়ি তৈরি হয়, তাঁদের অধিকাংশই অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন। তাঁদের অনেকে আয়করও দেন না। তাঁরা কী ভাবে ঋণ পাবেন। এই প্রশ্নের উত্তরে তমলুকের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও নির্দেশিকা নেই। শিবিরে সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা হবে।’’ ‘ডিস্ট্রিক্ট লেভেল মনিটরিং কমিটি’র চেয়ারম্যান তথা তমলুকের মহকুমাশাসক শুভ্রজ্যোতিবাবু বলেন, ‘‘সমাজের যে শ্রেণির মানুষের উন্নতির জন্য এই প্রকল্প, সেই নিম্ন আয়বর্গের মানুষের জন্য যদি কিছু নিয়ম শিথিল না করা যায় তাহলে এই প্রকল্পের স্বার্থকতা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দেবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement