Fever

Midnapore: জ্বরে কাবু একের পর এক শিশু, জায়গাই হচ্ছে না মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে!

প্রায় প্রতি দিনই ১০ থেকে ১৫টি করে শিশুকে জায়গা দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। নিকু, পিকু-সহ ১০০টি শিশু বিভাগের কোনও শয্যাই খালি নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২২ ১৮:০৭
Share:

হাসপাতালে জ্বরে ভোগা শিশুকে নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন একের পর এক অভিভাবক। নিজস্ব চিত্র।

ধুম জ্বর নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হচ্ছে একের পর এক শিশু। প্রায় প্রতি দিনই ১০ থেকে ১৫টি করে শিশুকে জায়গা দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। এখন অবস্থা এমনই যে, হাসপাতাল শয্যার সংকুলান হচ্ছে না। একটি শয্যায় দু’জন করে রোগী রয়েছে। ভাইরাস ঘটিত জ্বর, স্ক্রাব টাইফাস রোগে আক্রান্ত হয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রায় ৪০টি শিশু। নিকু, পিকু-সহ ১০০টি শিশু বিভাগের কোনও শয্যাই খালি নেই। তাছাড়া অন্যান্য উপসর্গের রোগীও রয়েছে। চিন্তা বাড়ছে অভিভাবকদের।

Advertisement

টানা বৃষ্টি এবং আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণেই ছোটদের মধ্যে জ্বরের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। তবে যে সংখ্যক শিশু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে, সেটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে তাঁদের। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু বিভাগের প্রধান তারাপদ ঘোষ বলেন, ‘‘গত কয়েকদিন ধরে জ্বরের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। হাসপাতালে প্রতি দিন ১০ থেকে ১৫টি শিশু ভর্তি হচ্ছে। যাদের বেশির ভাগেরই ভাইরাস ঘটিত জ্বর। কয়েক জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে স্ক্রাব টাইফাস ভাইরাস।’’ তিনি জানান, এদের চিকিৎসা চলছে। ভয়েরও তেমন কিছু নেই। তবে জ্বর একটু বাড়াবাড়ি হলেই হাসপাতালে শিশুদের নিয়ে আসছেন তাদের অভিভাবকেরা। চিকিৎসকের পরামর্শ, এই সময়ে শিশুদের জন্য একটু বাড়তি যত্নের দরকার। তাদের স্বাস্থ্যের দিকটা খেয়াল রাখতে হবে অভিভাবকদের।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, ‘‘জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে শিশু ভর্তির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চিকিৎসা চলছে।’’ তিনিও এই মরসুমে শিশুদের উপর বাড়তি নজরদারির দরকার বলে পরামর্শ দিয়েছেন। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী জানান, সবই ভাইরাস ঘটিত জ্বর। ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ার কোনও রোগীর বাড়বাড়ন্ত হয়নি জেলায়।

Advertisement
আরও পড়ুন:
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন