শীতলতম দিনে উৎসবে মাতল শহর

মেদিনীপুরে চলতি মরসুমে এর আগে কখনও তাপমাত্রার পারদ এতটা নামেনি। এর আগে ১২.৫ পর্যন্ত নেমেছিল। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের মেটিওরোলজি পার্ক সূত্রে খবর, রবিবার মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

শীতের আমেজ নিয়েই এল বড়দিন। মরসুমের গোড়া থেকে এ বার সে ভাবে শীতের দেখা মেলেনি। কোনও কোনও দিন তাপমাত্রার পারদ নামলেও ফের কমে গিয়েছে ঠান্ডা। রবিবার রাতে অবশ্য পারদ নেমে ১২ ডিগ্রি হয়ে যায়। মেদিনীপুরে চলতি মরসুমে এর আগে কখনও তাপমাত্রার পারদ এতটা নামেনি। এর আগে ১২.৫ পর্যন্ত নেমেছিল। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের মেটিওরোলজি পার্ক সূত্রে খবর, রবিবার মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি।

Advertisement

চলতি বছরের শীতলতম দিনে ঠান্ডা যে শুধু জাঁকিয়ে বসেছে তা নয়, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম থাকছে। বাতাসের গতিও কিছুটা কম। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কথায়, “দিন কয়েক আগেও প্রায় এক-দেড় সপ্তাহ দিনের বেশির ভাগ সময়ই তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ১৩-১৪ ডিগ্রির আশপাশে। ভোরের দিকে কাঁপুনি দিয়েছে। আবার সকালের রোদে সেই কাঁপুনি খানিক কমেছে। অবশ্য ঠান্ডা ভাবটা যায়নি। দতবে ১২ ডিগ্রিতে তাপমাত্রার নেমে যাওয়া চলতি মরসুমে এই প্রথম।”

এর আগে শেষ কবে মেদিনীপুরের তাপমাত্রা অনেকটা নেমেছিল? বিশ্ববিদ্যালয়ের মেটিওরোলজি পার্ক সূত্রে খবর, গত বছর ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ দিকে এমন পরিস্থিতি হয়েছিল। ওই সময়ও শীতে কেঁপেছে মেদিনীপুর। একদিন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির নীচে নেমে ৭.৮ ডিগ্রি হয়ে যায়। ওটাই ছিল ওই মরসুমে মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এখন তাপমাত্রা যেখানে ঘোরাফেরা করছে, তাতে শীতটা আরও কিছুদিন থাকবে বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা।

Advertisement

শীতের আমেজ সঙ্গে নিয়ে বড়দিনের উত্সবে মেতেছে মেদিনীপুর। সোমবার কোথাও বসেছে আড্ডার আসর। কোথাও বা চলেছে দেদার খানাপিনা। ‘ক্রিসমাস ইভ’ উপলক্ষে সাজানো হয়েছে শহরের চার্চগুলোও। রবিবার রাতে চার্চের প্রার্থনাসভায় যোগ দেন অনেকে। সোমবার সকাল থেকে পার্কগুলোয় ভিড় জমে। শীতের রোদ গায়ে মেখে বড়দিনের সকাল থেকে পার্কে পার্কে ভিড় জমিয়েছেন অনেকে। দুপুর হতে পার্কগুলোয় যেন ঢল নামে। কেউ আসেন বন্ধুদের সঙ্গে। কেউ পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে। চুটিয়ে চলেছে হইহুল্লোড়। এ দিন অনেকে পিকনিকও করেন। পার্কের পাশাপাশি পিকনিক করতে অনেকে কংসাবতী নদীর ধারেও জড়ো হন।

বড়দিনে পিকনিক করতে গোপপার্কে এসেছিলেন রিতম দাস, স্বস্তিকা পালরা। স্বস্তিকার কথায়, “বড়দিনের দিনে পিকনিক করাটা ‘মাস্ট’! দারুণ মজা হয়েছে।” রিতমের কথায়, “সকালের দিকে শীতে কাঁপতে থাকা, পরে শীতের রোদ গায়ে মেখে ঘুরে বেড়ানো, জমিয়ে খাওয়াদাওয়া, একটা দিন একটু অন্য ভাবে কাটাতে কার না ভালো লাগে!” সোমবার মেদিনীপুরে শুরু হয়েছে বড়দিনের মেলা। শুরুর দিনই মেলায় ভিড় উপচে পড়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন