উচ্ছল: প্রাণের রঙে রঙিন দুই কিশোরী। ছবি: কিংশুক আইচ
দোলে মাতল শহর। উত্সবে সামিল আট থেকে আশি।
‘মেদিনীপুর বসন্ত উত্সব’ কমিটির উদ্যোগে রবিবার সকালে বিদ্যাসাগর হলের মাঠে অনুষ্ঠান হয়। ৩৫ তম বর্ষে দিনভর চলে নাচ-গান-কবিতা পাঠ। কচিকাঁচাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সঙ্গীতশিল্পী জয়ন্ত সাহা ও অলোকবরণ মাইতির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে ছিলেন বিধায়ক দীনেন রায়, প্রাক্তন বিধায়ক সন্তোষ রাণা। দীনেনবাবু বলছিলেন, “প্রতি বছর এই দিনে বিদ্যাসাগর হলের মাঠে আসি। বহু মানুষ আসেন। তাঁদের সঙ্গে কথা হয়। এটা একটা অন্য রকম ভাল লাগা।” সন্তোষবাবুর কথায়, “এখানে আবির খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। দারুণ লাগে।” উত্সবের অন্যতম উদ্যোক্তা অলোকবরণবাবু বলছিলেন, “এই উত্সব সকলের। এ বারও প্রচুর মানুষ এসেছেন। আমরা কৃতজ্ঞ।”
‘মেদিনীপুর ড্যান্সার্স ফোরাম’- এর উদ্যোগেও দোলের সকালে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল মেদিনীপুর কলেজ ক্যাম্পাসে। ‘বাসন্তী’ শিরোনামের এই আয়োজনেও ছিল নাচ-গান, আবির খেলা। শিশু সংগঠন ‘বঙ্কিম স্মৃতি সব পেয়েছির আসরে’র উদ্যোগে বসন্ত উত্সব হয় রবিবার বিকেলে। আসরের মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল।
রবিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচকে রবীন্দ্র মূর্তির কাছে ‘হোলি মিলন সমারোহ’- এর আয়োজন ছিল। উদ্যোক্তা ‘বজরং ব্যায়ামাগার’। এখানেও ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সঙ্গে আবির খেলা। রঙের উত্সবে রঙিন হয়ে ওঠেন সকলে। সোমবার সকালেও শহর মেদিনীপুরে বসন্ত উত্সব উদ্যাপন হয়েছে। ‘অরিফেরাস ড্যান্স ক্রিয়েশন’-এর উদ্যোগে এ দিন শহরের বিদ্যাসাগর হলের মাঠে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নাম ছিল ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’। উদ্যোক্তাদের তরফে অমিত অধিকারী বলছিলেন, “সোমবার আমরা বসন্ত উত্সব উদ্যাপন করেছি। অনেকে এসেছিলেন। সকলকে রাঙিয়ে দিনটাকে আরও রঙিন করে তোলার প্রচেষ্টাতেই এই আয়োজন।”