গ্রামে ভোট, তাই দিদি ‘কৃষি-বন্ধু’

তাঁর সরকার ‘কৃষক দরদি’। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের একবার মনে করালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

বরুণ দে

ডেবরা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৮ ০০:২৭
Share:

সসম্মানে: ডেবরার প্রশাসনিক জনসভার মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাক্তন বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি (মাঝে)। রয়েছেন দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। বুধবার। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

তাঁর সরকার ‘কৃষক দরদি’। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের একবার মনে করালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি এখনও। এরই মধ্যে ‘রুটিন’ জেলা সফর সারছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক জনসভা থেকে বৈঠক— সব জায়গায় তিনি জোর দিচ্ছেন বকেয়া উন্নয়নমূলক কাজ শেষ করার উপরে। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় প্রশাসনিক জনসভায় মমতা ঘুরেফিরে বললেন কৃষিতে কতটা এগিয়েছে রাজ্য। কৃষকদের জন্য তাঁর সরকার কী কী করছে তার সবিস্তার বর্ণনাও দিলেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি আজ গর্বিত। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছিলাম, আমার কৃষকদের আর কৃষি জমিতে খাজনা দিতে হবে না। আমরা মকুব করে দেব। আজ কৃষকেরা খুব খুশি যে পশ্চিমবাংলায় কৃষকদের জমিতে কোনও খাজনা সরকার নেয় না।”

কৃষিজমি রক্ষার আন্দোলন করেই ক্ষমতায় এসেছেন তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি যে কৃষকদের ভুলে যাননি, গ্রামের ভোটের আগে তা প্রমাণে মরিয়া মমতা বলেন, ‘‘কৃষক ভাতা ৭৫০ টাকা ছিল। ওটা বাড়িয়ে আমরা এক হাজার টাকা করে দিয়েছি। গ্রামেগঞ্জে কর্মসংস্থান চুটিয়ে চলছে। আগামী দিনে আরও হবে। গ্রামীণ কর্মসংস্থানে এক নম্বর পশ্চিমবঙ্গ।” কী ভাবে কৃষিতে বদলে যাচ্ছে রাজ্য? জেলার সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মমতার বক্তব্য, ‘‘ডেবরায় আসতে আসতে দেখছিলাম, সারা মেদিনীপুর জেলাটা মনে হচ্ছে যেন সবুজ কার্পেট পাতা হয়েছে। এত ফসল হচ্ছে। এত ফলন হচ্ছে। আমি হুগলি, বর্ধমান, বীরভূম জেলায় গেলাম। দেখছি ফলন বাড়ছে তো বাড়ছে।”

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ফলন বাড়ছে, বাড়ছে কর্মসংস্থান, তার সঙ্গে বাড়ছে কৃষকদের রোজগারও। তাঁর কথায়, ‘‘এই সময়ে কৃষকদের ইনকাম আড়াই ডবল বেড়েছে।” কিন্তু তাঁর কৃষকবন্ধু সরকার যে এখানেই থেমে থাকতে চান না তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। ডেববার আগে মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন বীরভূমের লাভপুরে। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও কিসান কার্ডে বেশি ঋণ দিতে হবে। কারণ, ৪০ হাজার টাকায় এখন কিছুই হয় না।’’

লাভপুরের প্রশাসনিক সভায় কিসান ক্রেডিট নিয়ে কথা শুরু। ডেবরার জনসভায় মমতা ছুঁয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন কৃষি ও কৃষক স্বার্থে জড়িত খুঁটিনাটি সব বিষয়। শুধুই উন্নয়নের ফিরিস্তি নয়, মমতার বক্তব্যে ছিল রাজনীতিও। সরাসরি বিজেপি-র নাম করেননি একবারও। তবে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘মানুষের সঙ্গে আছি। আর মানুষের সঙ্গে থাকব। কেন্দ্র টাকা দেয়নি। কিন্তু আমরা কাজ করি। শুধু মুখে বলি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন