সংশোধানাগারে থাকা বন্দিদের খাবারের গুণগত মান পরীক্ষা করতে এবার আচমকাই অভিযান হবে উপ এবং জেলা সংশোধানাগারগুলিতে। এর জন্য ৬ জনের বিশেষ কমিটিও গড়া হয়েছে। কমিটিতে থাকছেন জেলাশাসকের প্রতিনিধি, খাদ্য দফতরের আধিকারিক, সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ কারা দফতরের ঠিক করা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দুই প্রতিনিধিও। কোনও ত্রুটি নজরে এলে কমিটির চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবেন কারা দফতরে। তার ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে।
গত ১৭মে কারা দফতর এই নির্দেশ জারি করে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই কমিটি গঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ঘাটাল উপ-সংশোধনাগারে আচমকাই হাজির হন কমিটির সদস্যরা। ঘাটালের মহকুমা শাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধান বলেন, “ঘাটাল উপ-সংশোধনাগারে সব ঠিকঠাকই রয়েছে। বন্দিদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। কোনও অভিযোগ নেই। তবে ফের পরিদর্শন করা হবে।” কারা বিভাগের এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, “বিভিন্ন সময়ে খাবার নিয়ে অভিযোগ করেছেন বন্দিরা। তার প্রক্ষিতেই এই বিশেষ কমিটি গঠন।”
কারা দফতর সূত্রের খবর, সংশোধনাগারের আবাসিকেরা যাতে নিজেদের ভুল শুধরে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন সে জন্য কয়েক বছর আগে থেকেই উদ্যোগী হয়েছে কারা বিভাগ। এমনকী বন্দিদের স্বনির্ভর করতে নানা ধরনের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা চালুর পাশাপাশি আঁকা, গান-বাজনা থেকে ইচ্ছে হলেই যাতে বন্দিরা বই পড়ার সুযোগ পান সে জন্য লাইব্রেরিও তৈরি হয়েছে রাজ্যের সিংহভাগ সংশোধনাগারে। শুধু এই নয়,শরীর সুস্থ রাখতে বন্দিদের নিয়ম করেই ব্যায়ামের ব্যবস্থাও চালু করেছেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। সেই পথ ধরেই এ বার বন্দিদের খাবারের দিকেও সতর্ক নজরদারি চালাবে কারা দফতর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর ছিলই। এ বার আরও ভাল ভাবে নজর দেওয়ার জন্য থার্ড পার্টি পরিদর্শন কমিটি গড়া হয়েছে। ওই কমিটি আচমকাই বিভিন্ন সংশোধনাগার পরির্দশন করবেন।” খাবারের মান দেখার পাশাপাশি রান্নাঘরেও ঢুঁ মারবেন কমিটির সদস্যরা।