মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতা

স্থানীয় ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গাছ বিক্রি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে কয়েকমাস আগে ওই দুই কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সে নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন তাঁরা। শ্রীকৃষ্ণ ও কৃষ্ণদাসের অভিযোগ, বুধবার বিকেলে তাঁদের নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুজিত রায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৭ ১৩:০০
Share:

ফাইল চিত্র।

পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের ভিতরে দুই অস্থায়ী কর্মীকে মারধরে অভিযোগ উঠল সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে। তৃণমূল পরিচালিত পাঁশকু়ড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কৃষ্ণপদ দাস ও শ্রীকৃষ্ণ দাস নামে নিগৃহীত ওই দুই কর্মী।

Advertisement

স্থানীয় ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গাছ বিক্রি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে কয়েকমাস আগে ওই দুই কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সে নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন তাঁরা। শ্রীকৃষ্ণ ও কৃষ্ণদাসের অভিযোগ, বুধবার বিকেলে তাঁদের নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুজিত রায়। কাঠের বাটাম, লোহার স্কেল, চড়-থাপ্পর বাদ যায়নি কিছুই। কোনও রকমে ঘরে থেকে পালিয়ে বেঁচেছেন বলে তাঁদের দাবি। কৃষ্ণদাসবাবু বলেন, ‘‘ঘর থেকে দৌড়ে পালাই। স্থানীরাই প্রাথমিক শুশ্রূষার পর আমাদের পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান।’’ ওই রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।

পুলিশ জানিয়েছে, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে। সুজিতবাবু অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘‘সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এ সব করা হচ্ছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে বনসৃজন প্রকল্পে লাগানো গাছের পরিচর্যার জন্য কৃষ্ণপদ দাস ও শ্রীকৃষ্ণ দাস-সহ কয়েকজনকরে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল বেশ কয়েকবছর আগে। এ বছর রাতুলিয়া এলাকায় কিছু ইউক্যালিপটাস গাছ কম দামে বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে ওই কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে কৃষ্ণপদ ও শ্রীকৃষ্ণকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় পঞ্চায়েত সমিতি। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সম্প্রতি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ওই দু’জন।

Advertisement

যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লিপিকা জানা হাজরা বলেন, ‘‘অফিসের মধ্যে দু’জনকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। আমি অফিসে ছিলাম না। যদি এ রকম ঘটনা সত্যি ঘটে থাকে তাহলে তার নিন্দা করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন