মোরাম পড়ে এক বছর, হয়নি রাস্তা

ছবিটা সবং ব্লকের দেভোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাদলপুর গ্রামের। তেমাথানি-দেহাটি সড়কের বাদলপুর বাসস্টপ থেকে ডিহিবাদলপুর গ্রামের রাস্তা বেহাল। গ্রামের বাসিন্দা কার্তিক ওঝার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা ২০১৫-’১৬ অর্থবর্ষে একশো দিনের প্রকল্পে সংস্কার হওয়ার কথা ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৭ ০০:৩২
Share:

বেহাল: কাঁচা রাস্তাই ভরসা বাদলপুরবাসীর। নিজস্ব চিত্র

বড় রাস্তার ধারে স্তূপাকার হয়ে পড়ে মোরাম। পাশ দিয়ে গ্রামের ভিতরে চলে যাওয়া এবড়ো-খেবড়ো রাস্তায় অবশ্য মোরাম উঠে মাটি বেরিয়ে পড়েছে। রাস্তায় ঢোকার মুখে পঞ্চায়েতের লাগানো বোর্ড জানান দিচ্ছে, চতুর্দশ অর্থ কমিশনের টাকায় একশো দিনের প্রকল্পে রাস্তা সংস্কার হবে। সে জন্যই এসেছে মোরাম। কিন্তু গত এক বছর ধরে তা একই অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

Advertisement

ছবিটা সবং ব্লকের দেভোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাদলপুর গ্রামের। তেমাথানি-দেহাটি সড়কের বাদলপুর বাসস্টপ থেকে ডিহিবাদলপুর গ্রামের রাস্তা বেহাল। গ্রামের বাসিন্দা কার্তিক ওঝার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা ২০১৫-’১৬ অর্থবর্ষে একশো দিনের প্রকল্পে সংস্কার হওয়ার কথা ছিল। তার জন্যই বাদলপুর বাসস্টপ থেকে ডিহিবাদলপুর মোড় পর্যন্ত রাস্তার ধারে ফেলা হয়েছিল মোরাম। কিন্তু রাস্তা সংস্কারের কাজে তা এখনও ব্যবহার হয়নি। এ দিকে, বছর চারেক আগে সংস্কার হওয়া মোরাম রাস্তা এখন খানাখন্দে ভরা। আর মোরাম তো ধুয়ে-মুছে সাফ। সামান্য বৃষ্টিতেও জল-কাদায় হাঁটা দায়। এ ছাড়া, গ্রামের ডিহিপলশা-সহ বেশ কয়েকটি রাস্তা বেহাল হয়ে পড়লেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য উদাসীন বলে অভিযোগ। ভারী বর্ষায় কীভাবে রাস্তায় চলাচল করবেন তা ভেবে উদ্বিগ্ন গ্রামবাসী।

নিয়ম অনুযায়ী মোরাম রাস্তা প্রতি বছর সংস্কার করতে হয়। বাদলপুরে রাস্তার মুখে এক বছর লাগানো বোর্ডে লেখা রয়েছে, একশো দিনের কাজে চতুর্দশ অর্থ কমিশন থেকে এই রাস্তা সংস্কারের জন্য ২ লক্ষ ১৮ হাজার ২১২ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কাজের ২৭৯টি অদক্ষ ও ৩৩২টি অর্ধদক্ষ শ্রমদিবস বরাদ্দ হয়েছে এবং সরঞ্জাম কিনতে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৬২১ টাকা খরচ হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু এত দিনেও কাজ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু সামন্ত বলেন, “২৫০টি পরিবারের সদস্যদের দিনে কতবার যে এই পথে যাতায়াত করতে হয় তার হিসেব এক বছর ধরে মোরাম পড়ে থাকলেও রাস্তা সারানো হয়নি। এবড়ো-খেবড়ো পথে চলতে বিপত্তি বাড়ছে।” গ্রামের নির্মল ওঝা বলেন, “ডিহিপলশাতেও রাস্তার কাজ হয়নি। কী কারণ বুঝতে পারছি না।”

Advertisement

এই এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তারিণীচরণ মহাপাত্র একসময়ে কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। গত বছর তিনি তৃণমূলে ঝুঁকেছেন। কিন্তু এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ করছেন না বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা রুদ্রনারায়ণ ভট্টাচার্যের মতে, ‘‘এর আগে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে গ্রামের শ্রমিকেরা টাকা পাননি।। তাই তাঁরা নতুন কাজে হাত দিতে চাইছে না।” যদিও পঞ্চায়েত সদস্য তারিণীচরণবাবুর দাবি, “দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার কাজ করছেন না। আমি বারবার গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে জানিয়েছি। তাতেও কাজ না হলে আমি কী করব!” গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মৌসুমী দাস অবশ্য বলেন, “ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য কাজ করাতে পারছেন না। তাই এক বছর ধরে মোরাম পড়ে রয়েছে। আমরা এ বার গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ওই রাস্তা করে দেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন