এভাবেই মারা হয়েছে কুকুরটিকে। পাশে পড়ে সদ্যোজাত।
প্রসবকালীন অবস্থায় একটি কুকুরকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রেহাই পায়নি সদ্যোজাত দুই শাবকও। সোমবার সন্ধ্যায় এমন ঘটনার সাক্ষী রইল হলদিয়ার রাধাবল্লভচক এলাকা। ঘটনার পর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে হলদিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকারই বাসিন্দা অভিযুক্ত অনুপকুমার দাস পলাতক। তাঁকে ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় খড়ের গাদায় প্রসব করছিল কুকুরটি। সেই সময়ই অনুপবাবু লোহার রড দিয়ে কুকুরটিকে মারতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কুকুরটির। শুধু তাই নয়, সদ্যোজাত দুই কুকুর ছানার মুখও থেঁতলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অনুপবাবু বরাবরই রাস্তার কুকুরদের মারতেন।
শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক রীতা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অনুপবাবু বহুবার এরকম কাজ করেছেন। এ বার হাতেনাতে ধরার পরই আমরা থানায় অভিযোগ জানাই।’’ স্থানীয় বাসিন্দা ও সারমেয়প্রেম পিন্টু মাইতিরও অভিযোগ, ‘‘ বাসিন্দারা অনেকবার অনুপবাবুকে সাবধান করেছিল। কিন্তু তিনি কথায় কান দেননি।’’
রাস্তার কুকুরদের সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে বহুবার পুরসভার কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বাসিন্দারা। পুরসভার যে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখাকার কাউন্সিলর গোপাল দাস পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানও। তাঁর সাফাই, ‘‘আমরা এরপর থেকে রাস্তার কুকুরদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব।’’
কয়েক মাস আগেই, কলকাতার একটি আবাসনে কুড়িটি রাস্তার কুকুরকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। ছাদ থেকে কুকুরকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল চেন্নাইয়ের এক ডাক্তারি ছাত্রের বিরুদ্ধে। তবে সামান্য কিছু জরিমানা দিয়েই রেহাই পেয়ে যায় অভিযুক্তরা। ফলে অত্যাচারে লাগাম টানা যায় না। তবে হাল ছাড়তে নারাজ হলদিয়ার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালানো হবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। নিজস্ব িচত্র।