ঝাড়গ্রাম

গরমিল, দুই রেশন ডিলারকে শো-কজ

দোকান পরিদর্শনের সময় গরমিল ধরা পড়ায় ফের দুই রেশন ডিলারকে শো- কজ করল খাদ্য দফতর। ঘটনাটি ঝাড়গ্রামের জারুলিয়ার।দফতরের এক সূত্রে খবর, গত রবিবার জারুলিয়ার রেশন দোকান পরিদর্শন করেন এক পরিদর্শক। অভিযোগ, সেই সময় বেশ কিছু গরমিল ধরা পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:১৮
Share:

দোকান পরিদর্শনের সময় গরমিল ধরা পড়ায় ফের দুই রেশন ডিলারকে শো- কজ করল খাদ্য দফতর। ঘটনাটি ঝাড়গ্রামের জারুলিয়ার।

Advertisement

দফতরের এক সূত্রে খবর, গত রবিবার জারুলিয়ার রেশন দোকান পরিদর্শন করেন এক পরিদর্শক। অভিযোগ, সেই সময় বেশ কিছু গরমিল ধরা পড়ে। পরিদর্শকের রিপোর্ট জমা পড়ে খাদ্য দফতরে। এরপরই হরিপদ মাহাতো ও তাপস মাহাতো নামে দুই রেশন ডিলারকে শো-কজ করা হয়। কেন এই গরমিল- সাতদিনের মধ্যে তার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না- হলে ওই দুই ডিলারের লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে বলে দফতরের ওই সূত্রে খবর। জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “ওখানে কিছু গরমিল ছিল। তাই শো-কজ করা হয়েছে।”

দিন কয়েক আগে লালগড়ের নেপুরার এক রেশন ডিলারকেও শো-কজ করে খাদ্য দফতর। অভিযোগ, রেশন দোকান নানা অনিয়ম চলছিল। আচমকা হানা দেন পরিদর্শক। হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় গরমিল। দেখা যায়, হিসেবের থেকে ১০০ লিটার কেরোসিন তেল কম রয়েছে। জারুলিয়ার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

এ বার লালগড়ের নেপুরার আরও দুই ডিলারকে শো-কজ নোটিস ধরানো হয়েছে। পরিদর্শনের সময় দেখা যায়, দোকানে ৫০০ লিটার কেরোসিন তেল মজুত থাকার কথা। ৩০০ লিটার রয়েছে। বাকি ২০০ লিটার নেই। চাল, আটাও কম রয়েছে। জেলা খাদ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, “রেশন ও কেরোসিন দোকান পরিদর্শনের সময় যেখানে অনিয়মের হদিস পাওয়া যায়, সেখানেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ঝাড়গ্রামের জারুলিয়ার ক্ষেত্রে তাই করা হয়েছে।” তাঁর বক্তব্য, “এ ক্ষেত্রে নিয়ম বহির্ভূত কাজের খতিয়ান হাতেনাতে ধরে ফেলেন পরিদর্শক।”

একাংশ রেশন গ্রাহকের অভিযোগ, জেলায় এমন আরও বহু রেশন দোকান অনিয়মে চলছে। খাদ্য দফতর উদাসীন। একাংশ গ্রাহকের বক্তব্য, কেরোসিনে বড়সড় দুর্নীতি চলছে। না- হলে খোলাবাজারে কেরোসিন মেলে কী করে। অভিযোগ, সরকার নিয়ন্ত্রিত কেরোসিন চড়া দামে খোলাবাজারে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। একাংশ গ্রাহকের দাবি, লোকদেখানো অভিযান না- করে কী করে এত কেরোসিন খোলাবাজারে চলে আসছে তার তদন্ত হওয়া উচিত।

তাঁদের বক্তব্য, খাদ্য দফতর যথাযথ তদন্ত করলে ও এ ভাবে রেশন দোকানগুলোয় আকস্মিক অভিযান চালালে ব্যবসায়ীরা সতর্ক থাকবেন। মানুষও কিছুটা রেহাই পাবেন। রেশন দোকানগুলোয় অভিযান চলবে বলে জানাচ্ছে খাদ্য দফতরও।

দফতরের এক কর্তা মানছেন, “এখনও এক শ্রেণির রেশন দোকান মালিকেরা ভাবছেন, দফতর তাঁদের বেআইনি কারবার ধরতে পারবে না। কিন্তু লাগাতার অভিযান চলবে। বেআইনি কাজ বন্ধ করা হবেই।” তাঁর কথায়, “রেশন দোকান মানুষের জন্য। সেখানে এত অনিয়ম থাকবে কেন!” খাদ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, জারুলিয়ায় ডিসপ্লে বোর্ডে মজুত জিনিসপত্রের উল্লেখ রাখা হয়নি। দোকানের খাতাপত্রও ঠিকঠাক ভাবে দেখভাল করা হয়নি। পরিদর্শকের রিপোর্ট পাওয়ার পর সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই ওই দুই রেশন দোকানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেয় খাদ্য দফতর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement