প্রতীকী ছবি।
বিজেপি’র পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে ফের রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পটাশপুর। গাড়ি ভাঙচুর এবং বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সংঘর্ষে দু’পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছেন।
কয়েকদিন আগে পটাশপুর-১ ব্লকের কনকপুরের বিজেপি কর্মী কালীপদ (মদন) ঘোড়াই জেল হেফাজতে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়। কালীপদের মৃত্যু ঘটনায় মঙ্গলবার কনকপুরে বিজেপির শোক পদযাত্রা কর্মসূচি হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, পদযাত্রার জন্য মঙ্গলবার বিকেলে পটাশপুরের চক্রবর্তী চকগোপালপুর এলাকায় বিজেপি কর্মীরা পতাকা লাগাচ্ছিলেন। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূলের কর্মীরা সেই কাজে বাধা দেন। তবে বিজেপি কর্মীরা এলাকায় দলীয় পতাকা লাগিয়ে চলে যান।
মিছিল শেষে রাতে বিজেপি কর্মীরা এলাকায় ফিরে দেখেন, দলীয় পতাকা দুষ্কৃতীরা ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে দিয়েছে। রাতে ফের বিজেপি কর্মীরা পতাকা লাগাতে গেলে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর হামলা করে বলে অভিযোগ। বিজেপি সমর্থক এক ব্যক্তির দোকান এবং রাস্তার পাশে রাখা বিজেপি সমর্থকদের গাড়ি ভাঙচির করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি’র দাবি, রাতে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের কাছেই পুলিশের একটি শিবির রয়েছে বলে স্থানীয় সূ্ত্রের খবর। বিজেপি’র কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি ও গাড়ি ভাঙচুর করছে। আমরা প্রয়োজনে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হব।’’ আপাতত বিজেপি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
গত কয়েক মাসে সাঁঞ্যা, আলামচক বেলদা ও চকগোপালপুর এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপি’র মধ্যে একাধিক সংঘর্ষ ঘটেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আলামচক কালি মন্দিরে গত তিন মাস ধরে অস্থায়ী ভাবে পুলিশের একটি শিবির করা হয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশ শিবিরের অদূরে চকগোপালপুরে ফের গাড়ি ভাঙচুর এবং বোমাবাজির অভিযোগ ওঠায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। বুধবার অশান্তির এড়াতে এলাকায় চলছে পুলিশি টহল। এগরার এসডিপিও মহম্মদ বৈদুজামান বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।’’ মঙ্গলবারের ঘটনা প্রসঙ্গে পটাশপুর-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তাপস মাজি বলেন, ‘‘বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে এলাকায় সন্ত্রাস করে চলেছে। উল্টে তৃণমূলের উপর দায় দিচ্ছে। প্রশাসনকে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি আমরাও জানিয়েছি।’’