শুরু কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চাপানউতোর  

শনিবার খড়্গপুর শহরের ঝাপেটাপুর মোড়ে একটি পুজোর উদ্বোধনের কথা ছিল তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। সেখানে স্থানীয় বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ আমন্ত্রণ পাননি।  এই পুজোর উপদেষ্টা হলেন তৃণমূলের শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর ও মেদিনীপুর: শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৯ ০০:০১
Share:

ছবি: সংগৃহীত

উপ-নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় নির্বাচনী বিধির জেরে শেষ পর্যন্ত কালীপুজোর উদ্বোধনে আসলেন না মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ অবশ্য শহরের মালঞ্চ এলাকার একটি পুজোর উদ্বোধন করেন।

Advertisement

শনিবার খড়্গপুর শহরের ঝাপেটাপুর মোড়ে একটি পুজোর উদ্বোধনের কথা ছিল তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। সেখানে স্থানীয় বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ আমন্ত্রণ পাননি। এই পুজোর উপদেষ্টা হলেন তৃণমূলের শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে। তিনি বলেন, “নির্বাচনের বিধি লাগু হয়ে যাওয়ায় মন্ত্রী আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। সেই অনুযায়ী জেলাশাসক, পুলিশ সুপার কেউই আসেননি। সাংসদ মানস ভুঁইয়া পুজোর উদ্বোধন করেছেন।”

এ দিকে খড়্গপুর বিধানসভা উপ-নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতে না হতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির দাবি, সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে। তৃণমূলের কটাক্ষ, কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন! ওরা বরং আন্তর্জাতিক কোনও বাহিনী আনার দাবি করুক! প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, নির্বাচন কমিশনের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া নিয়ে এখনও ভাবনাচিন্তা হয়নি। জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে কিছু হয়নি। সবদিক খতিয়ে দেখা হবে। দেখে জেলা থেকে যে পদক্ষেপ করার করা হবে।’’

Advertisement

নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার সর্বদলীয় বৈঠক হয়। সেখানে বৈঠকে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি সম্বন্ধে রাজনৈতিক দলগুলিকে অবহিত করা হয়েছে। উপ-নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে আগামী বুধবার অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর। মনোনয়ন চলবে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত। জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করতে যে পদক্ষেপ করার করা হচ্ছে।’’ একই আশ্বাস দেন জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। তিনি বলেন, ‘‘খড়্গপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিকই রয়েছে। যা পদক্ষেপ করার করা হচ্ছে।’’

প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, খড়্গপুর বিধানসভায় ২৭০টি বুথ রয়েছে। সেক্টর রয়েছে ১৬টি। ভোটার সংখ্যা ২,২৫,২৬৩। রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকছেন খড়্গপুরের মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী। বিজেপির আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া নির্বাচন হলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোট লুঠ করবে। এ দিন কালীপুজো উদ্বোধনের আগে দিলীপ ঘোষও দাবি করেন, “তৃণমূল ফের চাপ দিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে জেতার চেষ্টা করবে। আমরা প্রস্তুত। কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে এখানে নিয়োগ হয় তার জন্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছি।’’

তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির পাল্টা দাবি, ‘‘আন্তর্জাতিক বাহিনী এনে নির্বাচন হলেও খড়্গপুরে আমরা জিতব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন