ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ অব্যাহত। এ বার পরস্পরের বিরুদ্ধে দলের কর্মীদের মারধরের অভিযোগে সরব হল কংগ্রেস ও তৃণমূল।
কংগ্রেসের অভিযোগ, সবংয়ের দণ্ডরা গ্রামে দলের কর্মীদের তৃণমূলের লোকেরা মারধর করেছে, বোমাবাজি করেছে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পাল্টা মারধরের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলও। দণ্ডরায় দু’পক্ষের লোক জড়ো করলে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে যায় পুলিশ। পরে দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানায়। খড়্গপুরের এসডিপিও কার্তিক মণ্ডল বলেন, “দু’পক্ষই বোমাবাজির অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে দেখছি। এলাকায় পুলিশ রয়েছে।”
কংগ্রেসের অভিযোগ, স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীর মেয়ে ডালিয়া খাতুনকে তৃণমূলের লোকেরা মারধর করে। একই অভিযোগ তোলে তৃণমূলও। তাঁদের অভিযোগ, কংগ্রেস কর্মীদের মারধরে তৃণমূল কর্মী শাহাদাদ খাঁ জখম হন। এ দিন উভয় পক্ষের লোকেরাই দণ্ডরায় জমায়েত করে। দু’পক্ষের লোকেরা বচসায় জড়ায়। ঘটনা সংঘর্ষের আকার নিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশের সামনেই হাতাহাতিতে জড়ায় কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীরা। পুলিশ দু’পক্ষকে হঠিয়ে দেয়। তৃণমূলের দণ্ডরা অঞ্চল সভাপতি আজাদ আলির অভিযোগ, “নির্বাচনের পর থেকেই কংগ্রেস কর্মীরা তাদের লোকজনের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। মারধর করা হচ্ছে। দলের লোকদের লক্ষ করে বোমাবাজিও হয়েছে।” এ নিয়ে কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি দিলীপদাস পালের অভিযোগ, “ভোটের আগে থেকে তৃণমূল আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। দলের কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। বেছে বেছে কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘ওঁরা এলাকায় জমায়েত করে বোমাবাজি করেছে। আমরা পুলিশে অভইযোগ জানিয়েছি।’’ সবংয়ের কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘‘দণ্ডরায় আমাদের লোকেদের মারধর করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তের জন্য খড়্গপুরের এসডিপিওকে বলেছি।”