প্রতীকী চিত্র
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল বানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে সেখানে চিকিৎসক এবং নার্স নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হবে শুনে পাঁশকুড়ার মেচগ্রামের বড়মা হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের একাংশের মধ্যে দেখা গিয়েছে আতঙ্ক। হাসপাতাল সূত্রের খবর, অনেক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী কাজ করার অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ওই ‘আতঙ্ক’ কাটাতে হাসপাতালের সবাইকে নিয়ে কর্মশালা আয়োজনে উদ্যোগী হয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বড়মা হাসপাতালে ১৮০টি শয্যা এবং ২২টি আইসিইউ প্রস্তত করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সেখানে চিকিৎসক নার্স রয়েছেন ৩০ জন এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মী সংখ্যা ১৫০ জন। কিন্তু চিকিৎসা শুরুর মুহূর্তে বাধ সেধেছে করোনা-আতঙ্ক। হাসপাতাল সূত্রে খবর, করোনা রোগীদের চিকিৎসা হবে শুনে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মদের একাংশ কাজে না আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে বড়মা হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আফজল শা বলেন, ‘‘চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের একাংশ ভয় পাচ্ছেন। কিন্তু আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রত্যেকের সুরক্ষার জন্য সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ করেছে।’’ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ভাস্কর রায় বলেন, ‘‘নিচু স্তরের কর্মীদের কয়েকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কর্মীদের সুরক্ষার জন্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে যাবতীয় সামগ্রী চেয়ে পাঠানো হয়েছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসা চলাকালীন ঠিক কী কী ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, সেই বিষয়ে হাসপাতালের সমস্ত কর্মীদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করতে চলেছি।’’
এই বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই মণ্ডল বলেন, ‘‘কর্মীদের ভয়ের কোনও খবর জানা নেই। হাসপাতালটিতে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য যা যা পদক্ষেপের প্রয়োজন, তা নেওয়া হয়েছে।’’