Coronavirus

লিটারে দাম কমেছে ১২ টাকা, কেরোসিনে জটও

লকডাউনের মাঝে গত এপ্রিল মাসে বরাদ্দ কেরোসিন অনেক বাসিন্দা এখনও নেননি।

Advertisement

আনন্দ মণ্ডল

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২০ ০০:৩৭
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়েই জ্বালানি তেলের চাহিদা অনেকটাই কমেছে। এর জরে আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোপণ্যের মূল্য কমেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার জ্বালানি গ্যাস ও কেরোসিন তেলের দাম এক ধাক্কায় অনেকটাই কমিয়েছে। কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি প্রায় ১২ টাকা কমেছে। ফলে বাসিন্দাদের কেরোসিন সংগ্রহের চাহিদাও বেড়েছে। কিন্তু চলতি মাসে সরকারিভাবে বরাদ্দ কম দামের কেরোসিন তেল বণ্টনের আগে গত এপ্রিল মাসের বরাদ্দ কেরোসিন এখনও পুরোপুরি বণ্টন না হওয়ায় জেলার কেরোসিন ডিলাররা সমস্যায় পড়েছেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

কারণ লকডাউনের মাঝে গত এপ্রিল মাসে বরাদ্দ কেরোসিন অনেক বাসিন্দা এখনও নেননি। ফলে অধিকাংশ ডিলারদের কাছে এপ্রিল মাসের বরাদ্দ কেরোসিন জমা রয়েছে। ইতিমধ্যে কেরোসিনের দাম কমায় বাসিন্দারা নতুন দামে কেরোসিন কিনতে চাইছেন। ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কেরোসিন ডিলারদের সঙ্গে বাসিন্দাদের গোলমাল হচ্ছে বলে কেরোসিন ডিলার সংগঠনের অভিযোগ। এই অবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুরে প্রায় ৭০০ কেরোসিন ডিলারের বেশিরভাগই সমস্যায় পড়েছেন। সমস্যার সমাধান চেয়ে ডিলার সংগঠন জেলা খাদ্য দফতরের দ্বারস্থ হয়েছে।

খাদ্য দফতর ও ডিলার সংগঠন সূত্রে খবর, বাসিন্দাদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ কেরোসিন আগে গড়ে ৩০ টাকা দামে বিক্রি করা হত কেরোসিন দোকানে। এপ্রিল পর্যন্ত ওই দাম ছিল। তবে মে মাসের জন্য বরাদ্দ কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি কমে হয়েছে ১৮ টাকা। কেরোসিন ডিলাররা জানান, এপ্রিল মাসের বরাদ্দ কেরোসিন বণ্টন শেষ হওয়ার আগেই মে মাসের কেরোসিনের দাম কমানোর ঘোষণা হয়েছে। বাসিন্দারা এসে নতুন দামে কেরোসিন চাইছেন। এতে এপ্রিল মাসের বণ্টন না হওয়া কেরোসিন বিক্রি করতে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ নিয়ে মানুষকে বোঝাতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।

Advertisement

ওয়েস্ট বেঙ্গল কেরোসিন ডিলার সংগঠনের জেলা উপদেষ্টা কমিটির সদস্য মাধব পাঁজা বলেন, ‘‘লকডাউনের জেরে এপ্রিলে বরাদ্দ কেরোসিন বণ্টন এখনও শেষ হয়নি। অনেক ডিলারের কাছে কেরোসিন পড়ে আছে। ইতিমধ্যে এক ধাক্কায় কেরোসিনের দাম অনেকটা কমায় বহু বাসিন্দা এখন নতুন দামে কেরোসিন নিতে আসছেন। ডিলাররা এপ্রিল মাসের বেশি দামের কেরোসিন বণন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ডিলারদের সঙ্গে বাসিন্দাদের ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।’’ তিনি জানান, এপ্রিলের বরাদ্দ কেরোসিন বন্টন শেষ না করে নতুন দামের কেরোসিন বন্টন করলে ডিলারদের আর্থিক ক্ষতি হবে। সমস্যার সুরাহায় জেলা খাদ্য দফতরের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।

জেলা খাদ্য নিয়ামক সৈকত চক্রবর্তী বলেন,’’এপ্রিল মাসে বরাদ্দ কেরোসিন যদি থাকে তা পুরনো দামে মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বন্টন শেষ করার কথা। তবে মে মাসের বরাদ্দ কম দামে বণ্টন করতে হবে। ডিলারদের সমস্যার বিষয়টি আমরা দেখছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement