কুষ্ঠ-ত্রাণ উধাও, ঝাড়গ্রামে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর

কুষ্ঠত্রাণের বরাদ্দ চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠল ঝাড়গ্রাম পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কল্লোল তপাদারের বিরুদ্ধে মহকুমাশাসকের কাছে নালিশ জানিয়েছেন স্থানীয় কুষ্ঠ কলোনির ১১ জন বাসিন্দা। তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০৩
Share:

কুষ্ঠত্রাণের বরাদ্দ চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠল ঝাড়গ্রাম পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কল্লোল তপাদারের বিরুদ্ধে মহকুমাশাসকের কাছে নালিশ জানিয়েছেন স্থানীয় কুষ্ঠ কলোনির ১১ জন বাসিন্দা। তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।

Advertisement

শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নথিভুক্ত কুষ্ঠ কলোনির বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ দফতর এককালীন মাথা পিছু বিশেষ ত্রাণের চাল বরাদ্দ করে। সম্প্রতি মাথা পিছু ৭২ কেজি করে চাল বরাদ্দ হয়। পুরসভার দেওয়া কুপন দেকিয়ে সেই চাল নির্দিষ্ট দোকান থেকে সংগ্রহ করার কথা উপভোক্তাদের। মাস খানেক আগে কুপন বিলি করে পুরসভা।

বাসিন্দাদের দাবি, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুপনগুলি পুরসভা থেকে সংগ্রহ করে নেন। কিন্তু এক মাস পরেও এলাকার ১১ জন কুষ্ঠরোগী চাল পাননি। অভিযোগকারী শ্রাবন্তী হেমব্রম, প্রমীলা মাণ্ডি, গৌরী পাতরদের বক্তব্য, তাঁরা চাল পাননি। পুরসভায় গেলে জানতে পারেন কুপন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলরকে জানিয়ে লাভ হয়নি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মহকুমাশাসক, পুরপ্রধান ও উপ পুরপ্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই ১১ জন। ওই কলোনিরই বাসিন্দা কবিতা মাণ্ডি বলেন, ‘‘মাস খানেক আগে কাউন্সিলর আমাদের কয়েকজনকে কুপন দেন। দোকান থেকে চালও পেয়েছি। তবে কলোনির ১১ জন জন এখনও চাল পাননি।’’ মহকুমাশাসক নকুলচন্দ্র মাহাতো বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। পুরসভার কাছ থেকেও রিপোর্ট চেয়েছি।” কল্লোলবাবু অবশ্য দাবি করেন, “ঝাড়গ্রাম মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের নানা অব্যবস্থা নিয়ে সরব হওয়ার জন্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।” তবে তিনি স্বীকার করেছেন, কুষ্ঠ কলোনির জনা পাঁচেক বাসিন্দা কুপন পাননি। উপ-পুরপ্রধান শিউলি সিংহ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। পুরপ্রধান ঝাড়গ্রামের বাইরে রয়েছেন। তিনি ফিরলে বিষয়টি জানাব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement