যুগলের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিনপুরের কাঁকো অঞ্চলের শালতোড়া জঙ্গলের লাগোয়া একটি বহেড়া গাছে দুই কিশোর-কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন এলাকাবাসী।
মৃত সুরেন সরেন (১৬) ও সোহাগী হাঁসদার (১৫) বাড়ি বিনপুরের কাঁকো অঞ্চলের বরাশুলি গ্রামে। পুলিশ সূত্রের খবর, দিনমজুর পরিবারের দুই কিশোর-কিশোরীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। দু’জনেই স্কুল ছেড়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। সুরেন মহারাষ্ট্রে একটি কাপড় কলে শ্রমিকের কাজ করত। কয়েক মাস আগে মায়ের অসুস্থতার জন্য গ্রামে ফিরেছিল। তখন থেকেই পড়শি কিশোরী সোহাগীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুরেনের। দুই পরিবার অবশ্য এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি বলেই অনুমান পুলিশের।
গত সোমবার সন্ধেয় দু’জনেই বড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। তবে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনও নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়নি। এ দিন সকালে বরাশুলির অদূরে শালতোড়ার জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় গাছে একই নাইলনের দড়ির ফাঁসে দু’জনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
সোহাগীর বাবা পোচু হাঁসদার দাবি, “খেতমজুরের কাজ করতে সস্ত্রীক দূরের গ্রামে গিয়েছিলাম। মঙ্গলবার বাড়ি ফিরে ঘটনাটি জানতে পারি।” সুরেনের দাদা রাম সরেন বলেন, “সোমবার সন্ধ্যায় গামছা আর জামা পরে ভাই বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিল। ভেবেছিলাম অন্যদিনের মতো বন্ধুদের সঙ্গে সান্ধ্য-আড্ডা দিতে গিয়েছে। ভাই আর ফিরে আসেনি।” পুলিশের বক্তব্য, ওই যুগল আত্মহত্যা করেছেন। তবে স্থানীয় মহলের একাংশ, এই ঘটনার পিছনে দু’টি পরিবারের মধ্যে বিরোধের
ছায়া দেখছেন।