প্রতীকী ছবি।
এ দুনিয়ায় ভাই সবই হয়।
রিপোর্ট বলছে, তিনি করোনা পজ়িটিভ। ফলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে তৎপর হয়েছে প্রশাসনও। বারবার ফোনে যোগাযোগও করা হচ্ছে দাঁতন ২ ব্লকের খণ্ডরুই এলাকার ওই যুবকের সঙ্গে। কিন্তু যুবক বলছেন, তিনি কোথাও লালরসের নমুনা দেননি। সুতরাং পজ়িটিভ হওয়ার প্রশ্নই নেই। একই বক্তব্য ওই যুবকের পরিবারেও। তা হলে করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে ওই যুবকের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর এল কোথা থেকে! তাজ্জব প্রশাসনও। এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের মন্তব্য, ‘‘যাঁদের ‘পজ়িটিভ’ রিপোর্ট এসেছে তাঁদেরকেই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নমুনা না দেওয়া সত্ত্বেও কারও রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে বলে আমার কাছে খবর নেই। হয়তো কেউ ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে।’’
ওই যুবক কাজ করতেন দক্ষিণ ভারতের একটি রাজ্যের একটি হোটেলে। বোনের বিয়ে। তাই প্রথম দফার লকডাউন ঘোষণার দিন পনেরো আগেই চেন্নাই থেকে দাঁতনে ফিরেছিলেন। তারপর থেকে ঘরেই রয়েছেন। ওই যুবকের দাবি, দীর্ঘদিন তিনি বাড়িতে আছেন। তাঁর কোনও উপসর্গ নেই। তাই করোনা পরীক্ষা করানোরও প্রশ্ন নেই। অথচ রিপোর্ট অনুয়ায়ী, ওই যুবক খণ্ডরুই গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে গত ৩ অগস্ট লালারসের নমুনা দিয়েছেন। বুধবার রাতে রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। যুবকের বক্তব্য, ‘‘আমি কোথাও রিপোর্ট করাইনি। কী করে হল জানি না। অনেকেই ফোন করে বিরক্ত করছেন।’’ ওই যুবকের মায়ের কথায়, ‘‘ছেলে বাড়িতেই আছে। কোথাও যায়নি। কী করে এই রিপোর্ট এল জানতে চাই।’’
পুলিশ জানিয়েছে দাঁতন থানা এলাকার ছ’জনের রিপোর্ট হাতে বুধবার রাতে তারা হাতে পেয়েছে। সকলকেই শালবনি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে এই যুবকের নাম কী ভাবে এল? কাটছে না ধন্দ। অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারি দেবাশিস পাল বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’’ এখনও ঘরেই রয়েছেন ওই যুবক। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি কেউ যুবকের নাম ও ফোন নম্বর ব্যবহার করে রিপোর্ট করাল!
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)