ক্ষতিগ্রস্ত চাষজমি। নিজস্ব চিত্র।
হাতির হামলায় ফসলের ক্ষতি হল চন্দ্রকোনায়। শনিবার রাতে গড়বেতার ধাদিকা জঙ্গল থেকে ৪২ টি হাতির পাল ঢুকে পড়ে চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া জঙ্গলে। রাতেই দলমার দামালরা সব্জি খেতে ঢোকে। দফতরের ডিএফও (মেদিনীপুর) রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “পালটি চন্দ্রকোনা থানা এলাকার একাধিক গ্রামে ঢুকে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এখনও ক্ষতির হিসেব মেলেনি। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও করা হবে।”
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দিন কয়েক ধরেই হাতির পালটি খড়্গপুর বনাঞ্চল থেকে বেরিয়ে গড়বেতা, আড়াবাড়ি, ধাদিকা রেঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালায়। এখন পুরো পালটি ধাদিকা বিটেই রয়েছে। দিন চারেক ধরে ধাদিকা বিটের খড়িকাশুলি, কৃষ্ণপুর, নরহরিপুর, ভাটমারা-সহ কুড়ি-বাইশটি গ্রামের চাষের ক্ষতি করে দাঁতালরা। ফসলের ক্ষতি হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন গড়বেতার ওই গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, ‘‘ক’দিন ধরেই আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই লোকালয়ে ঢুকে ফসলের ক্ষতি করছে। বন দফতরের কোনও হুঁস নেই।”
রবিবার সকাল থেকে স্থানীয় মানুষ ও দফতরের কর্মীরা হাতির পালটিকে ধাদিকার গভীর জঙ্গলে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। অযোধ্যা গ্রামের প্রবীর ঘোষ, হারাধান পালেরা বলেন, “এ বার নোট বাতিলের জন্য অনেক কষ্টে আলু লাগানো হয়েছিল। আলুর ফলনও শুরু হয়েছে। ক’দিন বাদেই মাঠ থেকে আলু তোলা শুরু হবে। কিন্তু হাতি সব নষ্ট করে দিয়েছে। সরকার কত টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে?”
ঘটনায় উদ্বেগে দফতরের আধিকারিকরাও। দফতরের ডিএফও (রূপনারায়ণ) অর্ণব সেনগুপ্ত বলেন, “ধাদিকার জঙ্গলে এখনও ৭০টি হাতি ঘোরাফেরা করছে। ৪২টি হাতি চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া জঙ্গলে রয়েছে। আমরা দু’টি পালকেই গভীর জঙ্গলে ঢোকানোর ব্যবস্থা করছি। যাতে ফসলের ক্ষতি না বাড়ে-তার জন্য আমরা প্রস্তুত।”