বয়স হল এক বছর। এই এক বছরে কতটা স্বাবলম্বী হল নতুন জেলা ঝাড়গ্রাম? জেলার বর্ষপূর্তিতে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
প্রশাসনিক তথ্য বলছে, ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক বিভাগীয় অর্থ খরচের ক্ষমতা চেয়েছেন। অথচ এখনও ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের নিজস্ব টাকা খরচের ক্ষমতা এখনও নেই। ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের টাকা খরচের জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ফিন্যানশিয়াল কন্ট্রোলার অ্যান্ড চিফ অ্যাকাউন্ট অফিসারের উপর নির্ভর করতে হয়। সূত্রের খবর, চলতি বছর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ থেকে ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদকে ৩৮ টি খাতে ৮ কোটি ৬৩ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬৬৬ টাকা দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক এক কর্তা জানালেন, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের নিজস্ব টাকা খরচের ক্ষমতা থাকলে সরাসরি রাজ্য থেকে বিভিন্ন খাতে এর চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ বরাদ্দ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি সমায় মাণ্ডি-র অবশ্য দাবি, নতুন জেলার প্রশাসনিক পরিকাঠামো অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি, শিক্ষা, সর্বশিক্ষা মিশন, প্রাণিসম্পদ বিকাশ, মত্স্য-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলি পশ্চিম মেদিনীপুর থেকেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। ফলে প্রশাসনিক কাজ ও উন্নয়নমূলক কাজকর্ম রূপায়ণের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে মানছেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশ। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে জেলায় ৮টি ইংরেজি মাধ্যম নয়া সুসংহত বিদ্যালয় বিদ্যালয় ও দু’টি ইংরেজি মাধ্যম মডেল স্কুল তৈরি হয়েছে। কিন্তু ওই দশটি স্কুলের যাবতীয় প্রশাসনিক দায়িত্বে রয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক)। নজরদারির অভাবে স্কুলগুলির বেহাল অবস্থা। ঝাড়গ্রাম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের নব নিযুক্ত চেয়ারম্যানকে প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও এখনও আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।
আবার প্রশাসনিক ক্ষমতা থাকলেও জেলা শিল্প কেন্দ্র, জেলা বিপর্যয় মোকাবিলার মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলিতে কর্মীর অভাবে কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ অবস্থা।
‘শিশু’ জেলার শৈশব কবে কাটবে, সেই অপেক্ষায় রয়েছেন ঝাড়গ্রামবাসী।
(চলবে)