খড়্গপুরে ডেঙ্গি-অভিযান
Dengue

টায়ার থেকে এসি, জমা জলেই বিপদ

শুক্রবার খড়্গপুর শহরে ডেঙ্গি নজরদারি কমিটির চতুর্থ দিনের পরিদর্শনে এমন ছবিই সামনে এল। এ দিন ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পরিদর্শন চলে। বিভিন্ন বহুতল ও বাড়িতে জমা জলে মশার লার্ভা দেখতে পান স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভার আধিকারিকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৭ ০২:০৯
Share:

নজরদারি: টায়ারে জমা জলে খোঁজ চলছে মশার লার্ভার। শুক্রবার খড়্গপুরে। —নিজস্ব চিত্র।

কোথাও আবাসনের বেসমেন্টে পার্কিংয়ের জায়গায় পড়ে থাকা টায়ারে জমা জল, কোথাও আবার বাড়ির এসি মেশিন থেকে বেরিয়ে আসা জল জমছে ড্রামে। আর সেখানেই কিলবিল করছে ডেঙ্গির মশার লার্ভা।

Advertisement

শুক্রবার খড়্গপুর শহরে ডেঙ্গি নজরদারি কমিটির চতুর্থ দিনের পরিদর্শনে এমন ছবিই সামনে এল। এ দিন ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পরিদর্শন চলে। বিভিন্ন বহুতল ও বাড়িতে জমা জলে মশার লার্ভা দেখতে পান স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভার আধিকারিকেরা। এ দিনের পরিদর্শনে ছিলেন নজরদারি কমিটির চেয়ারম্যান তথা অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পাল। তাঁর চোখেই ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিদ্যাসাগরপুর এলাকায় ধরা পড়ে জল জমার ছবি। কমিটির লোকেরা জমা জল ফেলে দিয়ে গৃহকর্তা ও আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্ক করেন।

শুধু আবাসন বা বাড়ি নয়, বিভিন্ন দোকানেও জল জমে থাকতে দেখা গিয়েছে। বিদ্যাসাগরপুরের একবারে শেষপ্রান্তে একটি টায়ারের গুদামে দেখা যায়, বোঝাই হয়ে থাকা টায়ারে জমা জলে মশার আঁতুড়ঘর। কয়েকটি বাড়িতে সুষ্ঠু নিকাশি না থাকায় একটি জমিতে জল জমতেও দেখা যায়। এই সব বিষয় নিয়ে আগামী সোমবার নজরদারি কমিটির বৈঠকে পুরসভা আলোচনায় বসবে বলে জানান কমিটির চেয়ারম্যান দেবাশিসবাবু। তিনি বলেন, “পরিদর্শনে দেখা যাচ্ছে, সচেতনতার অভাবেই মশার বাড়বাড়ন্ত। আমরা নিজেরা লার্ভা নষ্ট করেছি। কিন্তু মানুষ সচেতন না হলে ডেঙ্গির মশা নিমূল করা কার্যত অসম্ভব।”

Advertisement

এই পরিদর্শন নিয়ে বিরোধীরা অবশ্য প্রশ্ন তুলছে। সিপিএমের শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক অনিতবরণ মণ্ডল বলেন, “লোক দেখানো পরিদর্শন চলছে। পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতর এই কমিটির মাধ্যমে নিজেদের অপদার্থতার দায় চাপাচ্ছে সাধারণ মানুষের উপরে।” পুরসভার দাবি, সাফাইয়ের কাজ নিয়মমতোই হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement