প্রতীকী ছবি।
দিনে দিনে অপরিচ্ছন্ন হয়ে উঠছে অরণ্যশহর। রাস্তার ধারে জঞ্জাল ফেলার জন্য চিহ্নিত জায়গাগুলি (প্রাইমারি পয়েন্ট) নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। দুর্গন্ধে হাঁটাচলাই দায়। অভিযোগ, পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাফাই কর্মীরা নিয়মিত জঞ্জাল পরিষ্কার করছেন না। বর্ষার বৃষ্টি হচ্ছে মাঝে মধ্যেই। তার ফলে নোংরা আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বাড়ছে মশা-মাছির প্রকোপ। রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও করছেন পুরবাসী।
স্থানীয় সূত্রের খবর, পর্যটন শহর ঝাড়গ্রামের জঞ্জাল চিত্র রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছে পুর-কর্তৃপক্ষকে। শহরের ১৮ টি ওয়ার্ডে রয়েছে জঞ্জাল ফেলার ১২টি পয়েন্ট (জায়গা) রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে আরও বেশ কিছু ডাস্টবিন। শহরে প্রায় ৯০ হাজার মানুষের বাস। প্রতিদিন শহরে ৩৪ মেট্রিক টন আবর্জনা জমা হয়। সাফাই কর্মীরা ভ্যাট ও রাস্তার ধার থেকে আবর্জনা তুলে ঠেলাগাড়িতে তা নিয়ে গিয়ে জমা করেন প্রাইমারি পয়েন্টে। বিভিন্ন ওয়ার্ডের আবর্জনা জমা হয় ওই সব প্রাইমারি পয়েন্টে। সেখান থেকে ট্র্যাক্টরে জঞ্জাল নিয়ে যাওয়া হয় শহরের উপকন্ঠে মূল ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। এর জন্য পুরসভার একটি কমপ্যাক্টর যন্ত্রবাহী গাড়িও আছে। পুরবাসীর অভিযোগ, নিয়মিত জঞ্জাল পরিষ্কার হয় না। পুরসভার বক্তব্য, জনা দশেক স্থায়ী সাফাই কর্মী আর বাদবাকি ঠিকা কর্মীদের দিয়ে নিয়মিত সব জঞ্জাল পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না। পর্যায়ক্রমে প্রাইমারি পয়েন্টগুলি পরিষ্কার করা হয়। যদিও বাস্তবচিত্র অন্য কথা বলছে। এ ক্ষেত্রে পুর কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, পুরবাসীর একাংশ নির্দিষ্ট জায়গায় জঞ্জাল ফেলছেন না বলে সমস্যা হচ্ছে। পুরবাসীর অভিযোগ, সাফাই কর্মীরা নিয়মিত আসেন না। তাই রাস্তার ধারে, নর্দমায় জঞ্জাল ফেলতে বাধ্য হন অনেকে। এই অবস্থায় যেখানে সেখানে নোংরা-আবর্জনা ফেললে জরিমানা করার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছিল পুরসভা। সেই সঙ্গে সাফাইকর্মীরা নিয়মিত প্রাইমারি পয়েন্ট পরিষ্কার করছেন কি-না তাও খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
উপ-পুরপ্রধান শিউলি সিংহ বলেন, “শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে সাধ্যমতো চেষ্টা করা হচ্ছে। কোথাও বেশিদিন জঞ্জাল পড়ে থাকার কথা নয়। এমন হলে এলাকাবাসী পুরসভায় অথবা সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরকে জানালে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।” তিনি জানান, বর্ষায় সমস্ত ওয়ার্ডে জঞ্জাল পরিষ্কারের বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে।