পড়ে রয়েছে হাতির দেহ।নিজস্ব চিত্র।
পূর্ণবয়স্ক পুরুষ দাঁতালের মৃতদেহ উদ্ধার হল লালগড়ের জঙ্গলে। রবিবার সকালে স্থানীয় ভূমিজ ধানশোলার জঙ্গলে হাতিটির দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে এডিএফও (মেদিনীপুর) মধুসূদন হাজরার নেতৃত্বে বনকর্মীরা আসেন। প্রাণিচিকিৎসকেরা মৃত হাতিটির ময়নাতদন্ত করেন। এরপর জঙ্গলেই হাতিটির দেহ দাহ করা হয়।
মেদিনীপুর বন বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা জানান, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে দলের অন্য কোনও দাঁতালের সঙ্গে লড়াইয়ে জখম হয়েই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এক মাসে এই নিয়ে চারটি হাতির দেহ উদ্ধার হল পশ্চিম মেদিনীপুরে। এর আগে গড়বেতা ও আমলাগোড়ায় দু’টি হাতির মৃত্যু হয়েছিল। গত শুক্রবার গোয়ালতোড়ের পাথরমাড়ি জঙ্গলে একটি স্ত্রী হাতির মৃতদেহ পাওয়া যায়। সে দিনও বন দফতর দাবি করেছিল, অন্য হাতির সঙ্গে লড়াইয়ে স্ত্রী হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। সাধারণত, সঙ্গিনীকে কাছে পেতেই পুরুষ হাতির মধ্যে লড়াই হয়ে থাকে। অথচ গোয়ালতোড়ের জঙ্গলে আঘাতজনিত কারণে মৃত হাতিটি ছিল স্ত্রী। আবার এ দিন লালগড়ে পুরুষ হাতির দেহ মিলল। তাহলে প্রশ্ন লড়াইয়ে জখম আরও একটি পুরুষ হাতি কি জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে? বন দফতর জানিয়েছে, এমন কোনও হাতি রয়েছে কিনা, তা দেখা হচ্ছে। বন দফতর সূত্রে খবর, মেদিনীপুর বন বিভাগ ও রূপনারায়ণ বন বিভাগ এলাকায় দলমার পালের ১৩০ টি হাতি ছোট ছোট দলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।