ইশারাতেই বাঙ্ময় মূক-বধিদের নাচ

ওরা সকলেই মূক ও বধির ছাত্রী। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় ওরা পিছিয়ে পড়েনি। বরং জীবনের লড়াইয়ে সকলের সঙ্গে একই ভাবে এগিয়ে চলেছে ওরা।

Advertisement

কিংশুক গুপ্ত

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৭ ০০:৩৩
Share:

পারঙ্গমা: অনুষ্ঠান শেষে কলাকুশলীরা। —নিজস্ব চিত্র।

ওদের জগৎটা শব্দহীন। তা বলে সে জগৎ অন্ধকার নয়। সেখানে রয়েছে অনেক আলো, অনেক রং। কথাটা সত্যি প্রমাণ করল ডলি, কনকলতা,অহল্যা, মাম্পি, শিউলিরা।

Advertisement

ওরা সকলেই মূক ও বধির ছাত্রী। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় ওরা পিছিয়ে পড়েনি। বরং জীবনের লড়াইয়ে সকলের সঙ্গে একই ভাবে এগিয়ে চলেছে ওরা। শুক্রবার ঝা়ড়গ্রাম জেলাশাসকের সভাঘরে নৃত্য পরিবেশন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিল এই ছাত্রীরা।

এ দিন ঝাড়গ্রাম জেলা সমাজ কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে উদ্‌যাপিত হয় শিশুর অধিকার ও সুরক্ষা সপ্তাহ। সেই অনুষ্ঠানেই নৃত্য পরিবেশন করেন ‘সেবায়তন কল্যাণ কেন্দ্র’-এর ১৮ জন মূক ও বধিক ছাত্রী। এ ছাড়াও শিশুদের অধিকার ও সুরক্ষা বিষয়ে আলোচনা করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) টি বালাসুব্রহ্মণ্যম, জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক স্বর্ণেন্দু মণ্ডল, জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক অমিয়রঞ্জন মণ্ডল প্রমুখ। সংযোজনায় ছিলেন জেলা তথ্য আধিকারিক বরুণ মণ্ডল।

Advertisement

ছাত্রীদের অনুষ্ঠানের পর নৃত্য প্রশিক্ষক বিশ্বজিৎ বণিক বলেন, “ওরা কানে শুনতে পায় না। কথাও বলতে পারে না। হাতের সাংকেতিক মুদ্রা দেখেই নৃত্য পরিবেশন করে ওরা।” বিভিন্ন গানের তালে ডলি, মাম্পিদের নাচ দেখে বিস্মিত সভাঘর ফেটে পড়ে করতালিতে।

এই অনুষ্ঠান ছাড়াও এ দিন মানিকপাড়ার নিবেদিতা গ্রামীণ কর্মমন্দিরের সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে অনাথ মেয়েরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন