সদ্যোজাতের মৃত্যু, কাঠগড়ায় নার্সিংহোম

জানা গিয়েছে, গত ৫ জুলাই কাঁথির ভূপতিনগর থানার মাধাখালির গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণিমা মাইতিকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করান পরিবারের লোকেরা। সে দিনই স্বাভাবিক ভাবে তিনি একটি পু্ত্র সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু সে সময় কোনও চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন না বলে সত্যপ্রকাশের অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৭ ০০:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

ফের গাফিলতির অভিযোগ নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। এক সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনায় তমলুক শহরের শঙ্করআড়ার একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সদ্যোজাত মৃত্যুর ঘটনাটি অবশ্য গত রবিবারের। শুক্রবার শিশুটির বাবা সত্যপ্রকাশ মাইতি তমলুক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

জানা গিয়েছে, গত ৫ জুলাই কাঁথির ভূপতিনগর থানার মাধাখালির গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণিমা মাইতিকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করান পরিবারের লোকেরা। সে দিনই স্বাভাবিক ভাবে তিনি একটি পু্ত্র সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু সে সময় কোনও চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন না বলে সত্যপ্রকাশের অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘‘ প্রসবের সময় চিকিৎসক ছিলেন না। প্রসবের চেষ্টা করেছিলেন নার্স এবং অন্য কর্মীরা। তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন আমার স্ত্রী, সন্তানও।’’

তাঁর দাবি, প্রসবের পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান মা এবং শিশুর দু’জনেই সঙ্কটজনক। তাই ছেলেকে জেলা হাসপাতালের এসএনসিইউতে ভর্তি করানো হয়। ৯ জুলাই সেখানেই ছেলের মৃত্যু হয়। পূর্ণিমাদেবী এখনও সুস্থ নন।

Advertisement

পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে পরিবার জেলা হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ না-নেওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। পুলিশ চেষ্টা করছে শিশুটির দেহ খুঁজে বের করে ময়নাতদন্ত করতে। শনিবার ওই নার্সিংহোমে জি়জ্ঞাসাবাদ করতে যায় পুলিশ।

যদিও গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে নার্সিংহোমের এক কর্তা সন্তোষ মাইতি বলেন, ‘‘প্রসবের সময় প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। গাফিলতির অভিযোগ সঠিক নয়।’’ পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন