টাকা উদ্ধারে নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত

গতিধারা প্রকল্পে বেকার যুবকদের গাড়ি কেনার জন্য ১ লক্ষ টাকা অথবা গাড়ির দামের ৩০ শতাংশ টাকা দেয় রাজ্য সরকার। ২০১৪ সালে প্রকল্প শুরু হওয়ার পর প্রথমদিকে শ্রম দফতর মারফত অর্থ প্রাপকদের নাম পাঠানো হত পরিবহণ দফতরে। ২০১৫সালে ঠিক হয়, গাড়ির ডিলার মারফত নাম পাঠানো হবে পরিবহণ দফতরে।

Advertisement

দেবমাল্য বাগচী

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৭ ০৩:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

গতিধারা প্রকল্পে টাকা পেয়েও গাড়ি কেনেননি অনেকে। নোটিস দিয়েও কাজ হয়নি। যে সমস্ত ডিলারের সুপারিশ মেনে বিভিন্ন ব্যক্তিকে এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয়েছিল, এ বার সেই সব ডিলারকে কালো তালিকাভুক্ত করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিবহণ দফতর। ওই সব ডিলারের থেকে আসা সব ধরনের গাড়ির রেজিস্ট্রেশন আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

গতিধারা প্রকল্পে বেকার যুবকদের গাড়ি কেনার জন্য ১ লক্ষ টাকা অথবা গাড়ির দামের ৩০ শতাংশ টাকা দেয় রাজ্য সরকার। ২০১৪ সালে প্রকল্প শুরু হওয়ার পর প্রথমদিকে শ্রম দফতর মারফত অর্থ প্রাপকদের নাম পাঠানো হত পরিবহণ দফতরে। ২০১৫সালে ঠিক হয়, গাড়ির ডিলার মারফত নাম পাঠানো হবে পরিবহণ দফতরে। ডিলারদের পাঠানো তালিকার প্রত্যেকের সাক্ষাৎকার নেন পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা। এরপর গতিধারা প্রকল্পের টাকা দেওয়ার জন্য ‘ট্রান্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’-এ মনোনীত ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করে পরিবহণ দফতর। ২০১৬সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জেলার অনেকে গতিধারা প্রকল্পের টাকার চেক পান। যদিও চেক পেয়েছেন এমন ৫৩ জন এখনও গাড়ি কেনেননি বলে অভিযোগ। এর ফলে যে চার জন ডিলার এই ৫৩ জনের নাম সুপারিশ করেছিলেন, তাঁরা পরিবহণ দফতরের প্রশ্নের মুখে পড়ে। প্রশ্ন তোলা হয়, কেন ওই সব ডিলার যাচাই না করেই নাম পাঠিয়েছিলেন। ডিলারদের থেকে সদুত্তর না মেলায় এ বার ওই সব ডিলারের থেকে আসা যে কোনও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবহণ দফতর।

জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক বিশ্বজিৎ মজুমদার বলেন, “গতিধারা প্রকল্পের টাকা নিয়ে অনেক প্রাপক গাড়ি কেনেননি। সেই টাকা উদ্ধার করতেই যে ডিলারদের মারফত আবেদন এসেছিল তাঁদের থেকে আসা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।”

Advertisement

এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ডিলারেরা। খড়্গপুরের রূপনারায়ণপুরে একটি গাড়ি শো-রুমের মালিক জিতেন অগ্রবাল বলেন, “গতিধারা প্রকল্পের বিজ্ঞাপন দেখে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের আবেদনটুকু পরিবহণ দফতরে পাঠিয়েছিলাম। তাঁদের সাক্ষাৎকার নিয়েছিল পরিবহণ দফতরই।’’ আর একটি গাড়ির শো-রুমের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার সুমিত প্রধানের বক্তব্য, “আমাদের কাছে যে যুবকেরা এসেছিলেন তাঁদের পছন্দসই গাড়ির দাম-সহ আবেদন লিখে সরকারের কাছে পাঠিয়েছিলাম। এর বেশি কোনও দায় নেই।’’

মেদিনীপুর ও খড়্গপুর আরটিও দফতরে রেজিস্ট্রেশন বন্ধ থাকায় নতুন গাড়ি কিনেও বিপাকে পড়েছেন অনেক ক্রেতা। এক জন বলেন, ‘‘ডিলারদের সঙ্গে প্রশাসনের গোলমালের ফল ভুগতে হচ্ছে আমাদের। রেজিস্ট্রেশন করতে না পারায় নতুন গাড়ি কিনেও বের করতে পারছি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন