কুয়ো থেকে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র শুভজিতের দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে শনিবারও দিনভর উত্তেজনা গড়বেতার আঁধারনয়ন গ্রামে। এ দিন শুভজিতের পড়শি ও বন্ধুরা মৌন মিছিল করেন। পরে ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের গ্রেফতারের দাবিতে চন্দ্রকোনা রোড পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে তাঁরা অবস্থান-বিক্ষোভও দেখান।
শনিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর থেকে শুভজিতের দেহ গড়বেতা আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আঁধারনয়ন গ্রামের মল্লিক পাড়ার বাসিন্দারা। মৃতের বাবা স্বরূপ ঘোষ বলেন, “আমার ছেলে স্কুলে গিয়ে আর বড়ি ফিরল না। চোর বদনাম দিয়ে ছেলেকে মারধোর করা হল। নিখোঁজ থাকার পর কুয়ো থেকে ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হল। অভিযোগ করার পরেও দোষীদের এখনও গ্রেফতার করল না পুলিশ।” যদিও জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তার কথায়, “শুক্রবার অভিযোগ পেয়েই দুই শিক্ষক এবং এক অশিক্ষক কর্মীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা শুরু হয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।” এ দিন স্কুল খোলা থাকলেও পড়ুয়াদের হাজিরা ছিল কম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার দেরিতে স্কুল ঢোকায় প্রার্থনায় না গিয়ে সোজা ক্লাস রুমে চলে যায় শুভজিৎ। পরে অভিযোগ ওঠে, একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রীর ব্যাগ থেকে ৬০ টাকা চুরি গিয়েছে। অভিযোগ ওঠে, শুভজিৎ সেই টাকা চুরি করেছে। তাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনায় মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দুই শিক্ষক মহম্মদ ইকবাল ও তুষার রায়ের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে শুভজিতের দেহ মেলে কুয়ো থেকে।