মশারি কিনতে এসে মশারই কাম়ড়ে জেরবার

ডেঙ্গির বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে মশারি। কিন্তু সেই মশারি কিনতে এসে মশার কামড়ে জেরবার হচ্ছেন ক্রেতারা। এ ছবি অরণ্যশহরের।

Advertisement

কিংশুক গুপ্ত

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৬ ০০:৫৯
Share:

মশারি বিক্রি হচ্ছে ঝাড়গ্রামের জুবিলি বাজারে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।

ডেঙ্গির বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে মশারি। কিন্তু সেই মশারি কিনতে এসে মশার কামড়ে জেরবার হচ্ছেন ক্রেতারা। এ ছবি অরণ্যশহরের।

Advertisement

বুধবার দুপুরে শহরের জুবিলি বাজারের দোকানে মশারি কিনতে এসেছিলেন শহর লাগোয়া কলাবনি গ্রামের সাবিত্রী সরেন, টিয়াকাটি গ্রামের সিদাম সরেন-রা। তাঁদের কথায়, “দিনের বেলা শহরের দোকানে এসে মশার কামড়ে অস্থির হয়ে পড়ছি। শেষে মশারি কিনতে এসে ডেঙ্গি না হয়!”

দিনের বেলাতেও ঝাড়গ্রাম শহরের সর্বত্র মশার উৎপাতে জেরবার পুরবাসী। এই পরিস্থিতিতে মশার কামড় থেকে বাঁচতে মশারি কিনেও স্বস্তিতে নেই অরণ্যশহরের বাসিন্দারা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অরণ্যশহরের বাছুরডোবা ও নতুনপল্লির বাসিন্দা দুই যুবক-সহ ঝাড়গ্রাম মহকুমার বিভিন্ন এলাকার মোট ৯ জন ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুরবাসীর অভিযোগ, জমা জল আর নোংরা-ঝোপঝাড়ে মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। তাতেও হেলদোল নেই পুরসভার।

Advertisement

বাছুরডোবা স্টেশনপাড়ার নর্দমায় মশানাশক তেল স্প্রে করছিলেন পুরকর্মীরা। তাই দেখে স্থানীয় বধূ দেবযানী সাহার টিপ্পনি, “নর্দমা-আগাছা পরিষ্কার না করে এসব ছড়িয়ে কী লাভ। মশার জ্বালায় টিকতে পারছি না।” মশার বংশবৃদ্ধিতে অবশ্য শহরে মশারি বিক্রি বেড়ে গিয়েছে। ঝাড়গ্রাম শহরের জুবিলি বাজারের বস্ত্র ব্যবসায়ী জলু কুণ্ডু, সুদীপ্ত ত্রিপাঠীদের বক্তব্য, “ডেঙ্গি নিয়ে প্রচারের ফলে, গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দারাও মশারি কিনছেন।” শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতেও মশার উপদ্রবে জেরবার সকলে। বুধবার টিএমসিপি-র ঝাড়গ্রাম শহর সভাপতি আর্য ঘোষের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা রাজ কলেজ, মহিলা কলেজ এবং ঝাড়গ্রাম ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (আইটিআই) চত্বরে মশানাশক
স্প্রে করেন।

শহরে মশা বেড়ে যাওয়ার জন্য পুরসভাকে বিঁধতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য প্রদীপ সরকার বলেন, “শহরে দু’জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন বলে শুনেছি। অথচ, বিষয়টি নিয়ে পুরসভা তেমন গুরুত্বই দিচ্ছে না।” পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেবের দাবি, “প্রতিটি ওয়ার্ডে নর্দমা ও ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হচ্ছে। মশানাশক তেল স্প্রে করা হচ্ছে। পুরসভার প্রচার গাড়ি
এলাকায় ঘুরছে।”

বাস্তবের ছবিটা কিন্তু আলাদা!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement